National News

৩০ বছর সেনায়, আজ ভারতীয় কিনা প্রমাণ দিতে হচ্ছে

হককে আগামী ১৩ অক্টোবরে নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য লোকাল ট্রাইব্যুনালে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে ফরেনার’স ট্রাইব্যুনাল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৭ ১৩:২৯
Share:

এই সেই অবসরপ্রাপ্ত সেনা অফিসার মহম্মদ আজমল হক। ছবি: সংগৃহীত।

৩০ বছর ভারতীয় সেনায় কাজ করেছেন। অবসর নিয়েছেন জুনিয়র কমিশনড অফিসার (জেসিও) হিসাবে। এখন সেই সেনা অফিসার মহম্মদ আজমল হকের নাগরিকত্বই প্রশ্নের মুখে। নথিপত্র দেখিয়ে প্রমাণ দিতে হবে তিনি এক জন ভারতীয় নাগরিক, এই প্রশ্ন তুলে ফরেনার’স ট্রাইব্যুনালের দ্বারস্থ হয়েছে অসম পুলিশ। ট্রাইব্যুনাল এ বিষয়ে নোটিস পাঠিয়েছে হয় অসমের ওই সেনা অফিসারকে।

Advertisement

আরও পড়ুন: ধনুক বিকল, হাতেই তির ছুড়ে রাবণ দহন করলেন মোদী

সংবাদ সংস্থা ডিএনএ-র রিপোর্টে বলা হয়েছে, হককে আগামী ১৩ অক্টোবরে নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য লোকাল ট্রাইব্যুনালে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে ফরেনার’স ট্রাইব্যুনাল। নোটিসে বলা হয়ছে, ১৯৭১-এ কোনও নথিপত্র ছাড়াই ভারতে এসেছিলেন হক। প্রশ্ন উঠছে, এক জন ব্যক্তি ৩০ বছর ধরে ভারতীয় সেনায় কাজ করে গেলেন, অবসরও নিলেন, এত দিন পর তা হলে তাঁর নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠছে কেন?

Advertisement

অসমের ছায়াগাঁওয়ের বাসিন্দা আজমল হক। তিনি নিউজ এইট্টিনকে বলেন, “৩০ বছর ধরে ভারতীয় সেনায় কাজ করছি। ২০১২-তে আমার নাগরিকত্ব নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে নোটিস পাঠানো হয়েছিল। সে সময় প্রামাণ্য নথিপত্র জমা দিয়েছিলাম ট্রাইব্যুনাল আদালতে। আমাকে ভারতীয় নাগরিকত্ব হিসাবে স্বীকৃতিও দেওয়া হয়।” পাশাপাশি তিনি জানান, সেনায় কাজ করতে গেলে পুলিশ ভেরিফিকেশন বাধ্যতামূলক। তাঁর ক্ষেত্রেও ভেরিফিকেশন হয়েছিল। হকের প্রশ্ন, এত কিছুর পরেও তাঁকে এ ভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে কেন। শুধু তিনি নন, এর আগে তাঁর স্ত্রী মমতাজ বেগমকেও ট্রাইব্যুনালের কাছে নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে হয়েছে বলে জানান হক। ইতিমধ্যেই বিষয়টি জানিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাষ্ট্রপতি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আর্জি জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: জেলায় আজ কিছু দুর্গাপ্রতিমা বিসর্জন

হকের এই বিষয়টি সামনে এনেছেন সেনার আইনজীবী আমান ওয়াদুদ। টুইটারে তিনি জানান, ভারতীয় সেনায় ৩০ বছর চাকরি করার পর অসম পুলিশ এখন তাঁকে অনুপ্রবেশকারী বলছে। ওয়াদুদের টুইটের উত্তর দিয়ে ইস্টার্ন কম্যান্ডের মেজর ডিপি সিংহ জানান, যত দিন না বিষয়টির একটা রফা হয় তত দিন ওই সেনাকর্মীকে সব রকম সহযোগিতা করবেন তাঁরা।

হকের এই বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement