রতু টেচি। ছবি: সংগৃহীত।
তিন দশক পরে নতুন বিধায়ক পেতে চলেছেন অরুণাচল প্রদেশের সাগালির বাসিন্দারা। অবসরপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার রতু টেচি এ বার এই আসনে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন। তাঁর বিপক্ষে কেউ মনোনয়ন পত্র জমা করেননি। মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষক্ষণ পেরিয়ে যাওয়ার পরই টেচির ঘোষণা, ‘‘শিক্ষার বিকাশ আমার প্রথম লক্ষ্য। গ্রামের গরিব ঘরের ছেলেমেয়েরা ভাল পড়াশোনার সুযোগ পায় না। এই প্রতিবন্ধকতা কাটাতে হবে।’’
সাগালি বরাবর কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি বলেই পরিচিত ছিল। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নাবাম টুকি ১৯৯১ সাল থেকে লাগাতার এই আসনে বিজয়ী হয়েছেন। বিজেপি নেতা টেচি এ বার সেই পরম্পরা ভাঙলেন। সাগালির প্রত্যন্ত রিগো গ্রামে ১৯৬৫ সালে তাঁর জন্ম। এলাকার আর পাঁচটি দরিদ্র পরিবারের সন্তানের মতোই গ্রামের স্কুলে প্রাথমিক পাঠ। পরে মেঘালয় সরকারের মেধাবৃত্তি পেয়ে সেখান থেকে মাধ্যমিক পাশ করেন। ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি নিয়ে ১৯৮৯ সালে অরুণাচল সরকারের পূর্ত দফতরে যোগ দেন। অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার থেকে ধাপে ধাপে উত্তীর্ণ হন সুপারিন্টেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার পদে। এর পরেই রাজনীতিতে যোগ দিতে আগ্রহী হন তিনি। টেচির কথায়, ‘‘এলাকার দরিদ্র মানুষের জন্য কিছু করতে মন চাইছিল। তাই স্বেচ্ছাবসর নিয়ে এলাকাবাসীর জন্য কাজে ঝাঁপাই।’’
তাঁর এত দিনের প্রধান প্রতিদ্বন্ধী নাবাম টুকি এখন আর বিধানসভা নির্বাচনে নেই। তিনি পশ্চিম অরুণাচল লোকসভা আসনের কংগ্রেস প্রার্থী। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ করেও টেচির মন্তব্য, সাগালির মানুষ অনেক দিন ধরে পরিবর্তন চাইছিলেন। তাই তাঁকে বিধায়ক হিসেবে মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে, মানুষের বিশ্বাসের মর্যাদা দিতে হবে।