৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কেনা হয়েছে ৫৯ হাজার কোটি টাকায়। আর দাসোর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ করে অনিল অম্বানী পেয়েছেন ২৯,৫০০ কোটি টাকার অফসেটের বরাত। সঙ্গে বিমানগুলি রক্ষণাবেক্ষণে ৫০ বছর ধরে আরও ১ লক্ষ ৫ হাজার কোটি টাকার বরাত। রাফালের দাম এবং বরাতের এই অঙ্ক জানিয়েছে অনিল অম্বানীরই সংস্থা। একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের নোটে সরকারের দাবি করা ‘জাতীয় গোপন বিষয়’ রাফালের দাম এখন প্রকাশ্য নথি। শুক্রবার তা পড়ে শোনাল কংগ্রেস।
রাফালের দাম জানাচ্ছে না নরেন্দ্র মোদীর সরকার। বিরোধীরা জানতে চাইলে তাদের ‘দেশবিরোধী’ তকমা দিচ্ছে বিজেপি। কারণ, দাম জানলেই নাকি চিন-পাকিস্তান তার ফায়দা তুলবে। সুপ্রিম কোর্টকেও তাই দাম জানানো হয়েছে বন্ধ খামে।
আরও পড়ুন: ‘কার ভাত জোটে না, দেখুন, পাশে বসুন’
আজ ভোটমুখী দুই রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী তিনটি সভা করলেন, কিন্তু রাফাল নিয়ে চুপ।
(ইতিহাসের পাতায় আজকের তারিখ, দেখতে ক্লিক করুন — ফিরে দেখা এই দিন।)
কংগ্রেস নেতা পবন খেরার কথায়, ‘‘রাফাল নিয়ে জবাব দিতে আগে তাও ক্রীড়ামন্ত্রী, বনমন্ত্রীরা আসতেন। এখন তাঁরাও আসেন না!’’ কংগ্রেসের প্রশ্ন, দাম তো এখন অনিল অম্বানী নিজেই জানিয়েছেন। তা হলে মন্ত্রগুপ্তি লঙ্ঘনের জন্য তাঁর বিরুদ্ধে কি এফআইআর করবেন মোদী?
কংগ্রেস এত দিন ধরে অভিযোগ করে আসছিল, ইউপিএ জমানায় প্রতিটি রাফালের দাম ছিল ৫২৬ কোটি টাকা। মোদীর জমানায় তা বেড়ে হয় ১৬৭০ কোটি টাকা। বেসরকারি আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের শাখা আইসিআইসিআই ডিরেক্ট-এর ‘ম্যানেজেমেন্ট মিট নোট’-এ যে অঙ্ক দেখা যাচ্ছে, সেই হিসেবেও প্রতিটি রাফালের দাম তার কাছাকাছি।
দাম ও বরাতের এই অঙ্ক অবশ্য এর আগে দাসোর ২০১৬ সালের বার্ষিক রিপোর্ট, রিলায়্যান্সের প্রেস বিবৃতি, রিল্যায়েন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার-এর বার্ষিক রিপোর্টেও উঠে এসেছে। আজ বেসরকারি ব্যাঙ্কের বিবরণে ফের পোক্ত হল অঙ্কটি। রাহুল আগেই অনিল অম্বানীর ৩০ হাজার কোটি টাকার অফসেট ও ১ লক্ষ কোটি টাকার রক্ষণাবেক্ষণের অঙ্ক জুড়ে বলেছিলেন, ‘‘রাফাল হল মোট ১ লক্ষ ৩০ হাজার কোটি টাকার লুট!’’