ফাইল চিত্র।
‘না মানে না’, নাকি ‘হ্যাঁ মানে হ্যাঁ’? একটি ধর্ষণ মামলার রায় দিতে গিয়ে বৃহস্পতিবার এই প্রশ্ন তুললেন দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি বিভু বাখরু।
বহু দিন শারীরিক সম্পর্ক থাকার পরেও বিয়ে না করার জন্য এক ব্যক্তির নামে ধর্ষণের মামলা করেন এক মহিলা। সেই মামলার রায়ে আজ অভিযুক্তকে নির্দোষ ঘোষণা করে বিচারপতি বলেন, ‘‘যৌন সম্পর্কের পরে প্রেমিকাকে প্রত্যাখ্যান করা খুবই ঘৃণ্য কাজ। তবে সেটিকে অপরাধের তকমা দেওয়া যায় না।’’
এই প্রসঙ্গেই বিচারপতি বলেন ‘‘এখন আমাদের ‘না মানে না’ থেকে ‘হ্যাঁ মানে হ্যাঁ’-এর পথে হাঁটতে হবে।’’
বিচারপতি বাখরুর কথায়, ‘‘১৯৯০-এর দশকে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে ‘না মানে না’ প্রচার শুরু হয়েছিল। এখন বলা হয় ‘হ্যাঁ মানে হ্যাঁ।’’ এর পরে বিচারপতি
আরও ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘‘আগে ভাবা হত, কেউ যদি মৌখিক ভাবে জানান যে যৌন সম্পর্কে তাঁর আপত্তি রয়েছে, তা হলে তাঁর সম্মতির বিরুদ্ধে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা ধর্ষণের শামিল। কিন্তু এখন যে মতটি গ্রহণ করা হয় তা হল— কেউ যদি স্পষ্ট ‘হ্যাঁ’ বলেন তা হলে বুঝতে হবে যে তিনি যৌন সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী। ফলে সে ক্ষেত্রে আর ধর্ষণ বলা যাবে না।’’