সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী ২০১৬ সালের ১ এপ্রিল থেকে বর্ধিত হারে বেতন পাবেন সরকারি কর্মীরা। তার ফলে রাজ্যের খরচ বাড়বে ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা। সে কথা জানিয়ে আজ বাজেট ভাষণে অর্থমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা জানান, এ বার থেকে উঠে যেতে চলেছে ‘অনুকম্পামূলক নিযুক্তি’র প্রক্রিয়া। ২০১৭ সালের এপ্রিল-মে মাসে প্রথম মাসের কিস্তি মিলবে। বাকি বকেয়া বেতন ২০১৮ এর মধ্যে মেটানো হবে। হিমন্ত জানান, সরকারি কর্মীরা ৫.০৫ শতাংশ হারে ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত গৃহ ঋণ এবং সন্তানদের উচ্চশিক্ষার জন্য চার শতাংশ হারে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘‘সরকারি কর্মী কর্মরত অবস্থায় মারা গেলে শিক্ষাগত যোগ্যতার অভাব ও অন্যান্য কারণে উত্তরাধিকারীর চাকরি হয় না। দালালদের হাতে অনেকে নাজেহাল, সর্বস্বান্ত হন। তাই রাজ্য সরকার অনুকম্পামূলক নিযুক্তি প্রথা তুলে দিচ্ছে।’’ তিনি জানান, নতুন নিয়মে কর্মচারী জীবিত অবস্থায় শেষ যে বেতন পাচ্ছিলেন, অবসরের বছর পর্যন্ত তাঁর নিটকাত্মীয়কে মাসে তত টাকাই বেতন দেওয়া হবে। তারপর থেকে মিলবে পেনশন। বাজেট ভাষণে অর্থমন্ত্রী জানান, যে সব সরকারি কর্মী বৃদ্ধ বাবা-মার যত্ন নেবেন না বা দেখভাল করবেন না, তাঁদের বেতন থেকে বাবা-মার দেখভাল বাবদ টাকা কেটে নেবে রাজ্য সরকার। সে জন্য আনা হবে আইন।