মুম্বইয়ে জলের তলায় ট্রেনলাইন। ছবি: রয়টার্স।
ভারী বৃষ্টিতে বানভাসি দেশের বাণিজ্যনগরী মুম্বই। সোমবার থেকেই আরব সাগরের তীরবর্তী এই শহরের বিস্তীর্ণ অংশ হাঁটুসমান কিংবা কোমরসমান জলের তলায় চলে গিয়েছিল। মঙ্গলবারেও পরিস্থিতির বিন্দুমাত্র উন্নতি হয়নি। বরং আবহাওয়া দফতর মঙ্গলবারও মুম্বইয়ে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়ে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করেছে। মুম্বইবাসীকে সমুদ্রসৈকতে না যাওয়ার পরমামর্শ দেওয়া হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে না বেরোনোর পরামর্শও দেওয়া হয়েছে তাঁদের।
মঙ্গলবার সকাল ৭টা পর্যন্ত মুম্বইয়ের বেশ কিছু জায়গায় মাত্র ছ’ঘণ্টায় ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ফলে শহরের নিচু অংশগুলি জলের তলায় চলে গিয়েছে। সেন্ট্রাল রেলওয়ের অন্তর্গত রেললাইনের একাংশ জলের তলায়। উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পাম্প চালিয়েও লাইন থেকে জল পুরোপুরি নামানো যায়নি। ফলে থমকে গিয়েছে লোকাল ট্রেন চলাচল। ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়েছে হাজার হাজার যাত্রীদের। মুম্বইয়ে ঢোকার মুখে আটকে রয়েছে বেশ কয়েকটি ট্রেন।
বৃষ্টিতে দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় মুম্বই বিমানবন্দর থেকে বিমান ওঠানামাতেও বিলম্ব হচ্ছে। বিমানবন্দর সূত্রে খবর, প্রায় এক ঘণ্টা পরিষেবা সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ রাখার পরেও পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। সকাল ১১টা পর্যন্ত ৫০টিরও বেশি বিমান বাতিল করা হয়েছে। এই ৫০টি বিমানের মধ্যে ৪২টি ইন্ডিগোর বিমান আর ৬টি এয়ার ইন্ডিয়ার।
ভারী বৃষ্টি এবং বন্যা পরিস্থিতির কারণে মুম্বই, ঠাণে, নবি মুম্বই, রত্নগিরি, রায়গড়, সাতারা, পুণে এবং সিন্ধুদুর্গ জেলার একাধিক প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্কুল মঙ্গলবারও বন্ধ রাখা হয়েছে। মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি পরীক্ষাও বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।