India-China

আমেরিকার রিপোর্ট ঘিরে চাঞ্চল্য

চলতি মাসেই দু’বার আমেরিকার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা হওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। প্রথমটি জাপানে জি৭-এর পার্শ্ববৈঠকে, দ্বিতীয়টি সিডনিতে কোয়াড গোষ্ঠীর বৈঠকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০২৩ ০৯:১৪
Share:

চলতি মাসেই দু’বার আমেরিকার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা হওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। প্রতীকী ছবি।

আমেরিকা চাইলেই চিনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শামিল হবে না ভারত। সম্প্রতি আমেরিকার একটি থিঙ্ক ট্যাঙ্কের (কার্নেগি এনডাওমেন্ট) এই সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে কূটনৈতিক মহলে। চলতি মাসেই দু’বার আমেরিকার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা হওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। প্রথমটি জাপানে জি৭-এর পার্শ্ববৈঠকে, দ্বিতীয়টি সিডনিতে কোয়াড গোষ্ঠীর বৈঠকে। তার আগে এই ধরনের রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়াকে পরোক্ষে নয়াদিল্লির উপরে চাপ তৈরির কৌশল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘আমেরিকা গত দু’দশক ধরে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভারতকেই তাদের মূল অংশীদার মনে করেছে। জো বাইডেনও সেই নীতিকেই এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। তার প্রধান কারণ, চিনের সঙ্গে ভূকৌশলগত যুদ্ধে ভারতকে পাশে পাওয়া। আর সেই কারণে মোদী সরকারের সংখ্যালঘু সংক্রান্ত নীতি বা ধর্মীয় মেরুকরণ সংক্রান্ত অভিযোগগুলি নিয়ে বিশেষ মুখ খোলে না ওয়াশিংটন’।

এর পরে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বলা হয়েছে, ‘ভারতের কাছে ওয়াশিংটনের যে প্রত্যাশা ছিল (চিন সংক্রান্ত) তা কিন্তু ধাক্কা খাচ্ছে। ভারত কখনই আমেরিকা-চিনের সংঘাতে নিজেকে জড়াবে না, যতক্ষণ না তার নিজের স্বার্থে আঘাত লাগে। ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্ককে খুবই গুরুত্ব দেয় নয়াদিল্লি, তার কারণ, আমেরিকার থেকে হাতেকলমে সুবিধা পাওয়া। কিন্তু তার বিনিময়ে যে কোনও সঙ্কটে (এমনকি চিনের কাছ থেকে পাওয়া হুমকির বিরুদ্ধেও) ভারত যে আমেরিকার পাশে দাঁড়াবে ব্যাপারটা এমন নয়’।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement