প্রতীকী ছবি।
স্কুলের শৌচাগারে সন্তান প্রসব করল দশম শ্রেণির এক ছাত্রী। দিল্লির মুখার্জি নগরের ঘটনা। গত বৃহস্পতিবার উত্তর দিল্লির এক সরকারি স্কুলে পরীক্ষা দিচ্ছিল দশম শ্রেণীর ওই ছাত্রী। হঠাৎই তার পেটে অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয়। তখন তাকে শৌচাগারে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে সন্তানের জন্ম দেয় সে। এর পর তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, গত দশ মাস ধরে ওই কিশোরীকে তারই প্রতিবেশী বেশ কয়েক বার ধর্ষণ করেছিল। যার জেরে সে গর্ভবতী হয়ে পড়ে।
অভিযুক্ত ব্যক্তি হল দিল্লির বাসিন্দা ৫১ বছরের এক অটোচালক আব্দুল গফর। ওই ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে গত শুক্রবার বিহার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এরই সঙ্গে পক্সো আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গণধর্ষণের পর তিন তলা থেকে ছুঁড়ে ফেলা হল কিশোরীকে
পুলিশকে ওই কিশোরী জানিয়েছে, অভিযুক্ত তাকে ভয় দেখিয়ে গত দশ মাসে চার থেকে পাঁচবার ধর্ষণ করে। এবং প্রতিবারই ধর্ষণ করার পর তার মুখ বন্ধ রাখতে ৫০০-৮০০ টাকাও দিত। কাউকে জানালে তাকে প্রাণে মারারও হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। ওই কিশোরী যে অন্তঃস্বত্ত্বা তা এক্কেবারেই টের পাননি তার বাবা ও মা। বেশ কিছুদিন ধরেই তার পেটে অসম্ভব যন্ত্রণা হচ্ছিল, সে কথা মেয়েটি তার মা-বাবাকে জানালেও তারা ততটা গুরুত্ব দেননি। তাঁরা ভেবেছিলেন হয়তো অম্বলের সমস্যার জন্য পেটে ব্যথা হচ্ছে।
গত সপ্তাহে স্কুলের ভিতর সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর স্কুল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে বিষয়টি জানানোর পরই আসল সত্যটা সামনে আসে। পুলিশের কাছে গফর গোটা ঘটনাটি স্বীকার করে নিয়েছে।