রঞ্জন গগৈ তাঁর আত্মজীবনীতে বেশ কিছু বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন। ফাইল চিত্র।
রাজ্যসভার সাংসদ তথা সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ তাঁর আত্মজীবনীতে বেশ কিছু বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন। ‘জাস্টিস ফর দ্য জাজ’ বইয়ে তিনি দাবি করেছেন, অসমে এনআরসির কাজ যেন ধীর গতিতে চালানো হয়, তার জন্য চাপ এসেছিল কেন্দ্রের তরফে। বিচারে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেছিলেন অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ। গগৈয়ের আরও দাবি, তাঁকে বিচার প্রক্রিয়া থেকে দূরে রাখতেই যৌন নিগ্রহের অভিযোগ আনা হয়েছিল।
দিল্লিতে বইটি প্রকাশিত হল বুধবার। তাতে গগৈ লিখেছেন, কেন্দ্র মোটেই এনআরসির কাজ দ্রুত করতে চায়নি। বরং এনআরসির ক্ষেত্রে তাঁকে ধীরে কাজ করতে বলা হয়। দেশের এক শীর্ষতম আমলা তাঁর বাড়িতে এসে আকারে-ইঙ্গিতে এ কথা বুঝিয়ে দেন। বোঝানো হয়, সুপ্রিম কোর্টের তদারকিতে চলা এনআরসি তৈরির প্রক্রিয়া নিয়ে যেন তাড়াহুড়ো করা না হয়। গগৈয়ের বক্তব্য, “আমি আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু নিজের বিচার বা সিদ্ধান্তে বাইরের কারও দখলদারি যে পছন্দ করি না, তা স্পষ্ট ও ভদ্র ভাবে ওই আমলাকে জানিয়ে দিয়েছিলাম।” তাঁর দাবি, রাজ্য প্রশাসনের তরফেও এনআরসির কাজে বাধা এসেছিল।
প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈয়ের বিরুদ্ধেও অভিযোগ এনেছেন সাংসদ গগৈ। তাঁর বক্তব্য, গৌহাটি হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি থাকাকালীন এক কনস্টেবলের ক্ষেত্রে মামলার রায় রাজ্য সরকারের পক্ষে দিতে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ। রঞ্জন গগৈ লিখেছেন, জীবনে এই দু’বারই এমন বাইরের চাপের মুখে পড়তে হয়েছিল। যৌন নিগ্রহের অভিযোগ নিয়ে আত্মজীবনীতে তিনি লিখেছেন, বিচার সংক্রান্ত কাজকর্ম থেকে তাঁকে যাতে সরানো যায়, সেই উদ্দেশ্যেই ওই ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল।