রাঁচী বিমানবন্দরের সীমানা-পাঁচিলে সোহরাই চিত্র। পার্থ চক্রবর্তীর তোলা ছবি।
দেশ-বিদেশের শিল্পপতিদের ঝাড়খণ্ড চেনাবে দেওয়ালে আঁকা রঙিন কোলাজ!
আদিবাসী সংস্কৃতি থেকে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি, বিরসা মুন্ডা থেকে লোকশিল্পী রামদয়াল মুন্ডা— রাঁচী বিমানবন্দরের দেড় কিলোমিটার সীমানা পাঁচিলে সে জন্যই রঙ-তুলিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে গোটা রাজ্যের রূপ-রস-গন্ধ।
১৬-১৭ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর হোটওয়ার মেগা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে বসছে ‘গ্লোবাল ইনভেস্টমেন্ট সামিট’। দেওয়ালের কোলাজ তারই অঙ্গ। প্রশাসনিক কর্তারা বলছেন, ‘‘রাঁচী বিমানবন্দরের বাইরে বেরতেই একের পর এক ছবিতে ঝাড়খণ্ডের নাড়ি টের পাবেন শিল্পপতিরা। এক লহমায় চিনে নিতে পারবেন এ রাজ্যকে।’’
শিল্প-সংস্কৃতি বিভাগের বিশেষ সচিব রামপ্রতাপ সিংহ জানান, সোহরাই অঙ্কনশৈলীতে দেওয়ালে ঝাড়খণ্ডের ছবি ফুটিয়ে তুলেছেন রাঁচী, খুঁটি, রামগড়, লোহারদাগার আদিবাসী শিল্পীরা। তাঁর মন্তব্য, ‘‘প্রাকৃতিক প্রাচুর্যে ভরপুর এই রাজ্যের ছবি দেখে শিল্পপতিরা এখানে বিনিয়োগে আরও বেশি আগ্রহী হতে পারেন।’’
কী নেই দেওয়ালের সেই কোলাজে। ঝাড়খণ্ডের খনিজ সম্পদ, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, খাদ্য, শিল্প, শিক্ষা, সংস্কৃতি, খেলাধুলো, আদিবাসীদের জীবনযাত্রা— আঁকায় ফুটেছে সব কিছুই। রয়েছে তিরন্দাজ দীপিকা কুমারী, ক্রিকেটার মহেন্দ্র সিংহ ধোনি, লোকশিল্পী রামদয়াল মুন্ডার ছবিও। স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরসা মুন্ডা, সিধু-কানহোও সেখানে উজ্জ্বল।
রাঁচী পৌরনিগমের জনসংযোগ আধিকারিক নরেশ কুমার সিংহ বলেন, ‘‘গ্লোবাল ইনভেস্টমেন্ট সামিট আয়োজনের কর্মযজ্ঞে স্থানীয় শিল্পীরাও যাতে উপার্জনের মাধ্যম খুঁজে পান, সে দিকে তাকিয়েই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।’’
বিমানবন্দর থেকে খেলগাঁও— যাত্রাপথের দু’পাশে সরকারি দফতরের কয়েকটি দেওয়ালেও থাকবে সোহরাই শিল্পের নির্দশন। সোহরাই শিল্পী রাধা কুমারী বলেন, ‘‘পলামুর বাঘ থেকে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি— দিনরাত জেগে ছবিতে শহর সাজাচ্ছি। দেওয়ালে দেওয়ালে আঁকছি নেতারহাটে সূর্যাস্ত, টেগোর হিল, হুড্রু প্রপাত, পত্রাতু উপত্যকাও।’’