প্রয়াগরাজের কুম্ভমেলা। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।
টাকা-পয়সার প্রয়োজন নেই। শুধু রাম নাম জপলেই হল। খুলে যাবে অ্যাকাউন্ট। উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে কুম্ভমেলা চলছে। সেখানেই হদিশ মিলেছে এমন একটি ব্যাঙ্কের। যার নাম, রাম নাম ব্যাঙ্ক। সেখানে টাকা রাখা যায় না। ভাঙানো যায় না চেকও। তবুও রমরমিয়ে ব্যবসা চলছে। শুধুমাত্র মানসিক শান্তির খোঁজে সেখানে ভিড় করেন পুন্যার্থীরা। ভগবান রাম সব কষ্ট দূর করে দেবেন বলে নিজেদের প্রবোধ দেন।
কুম্ভমেলার ৬ নম্বর সেক্টরে রাম নাম ব্যাঙ্কের সদর দফতর। বহু বছর আগে ব্যাঙ্কটির প্রতিষ্ঠা করেন ঈশ্বরচন্দ্র। তাঁর পৌত্র আশুতোষ ভার্শনে এই মুহূর্তে ব্যাঙ্কটি চালান। শনিবার সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে তিনি জানান, তাঁদের গ্রাহক সংখ্যা ১ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। গ্রাহকদের প্রত্যেককে ৩০ পাতার পাসবুক দেওয়া হয়। সেটিতে দিনে ১০৮ বার ভগবান রামের নাম লিখতে হয়। লিখে পাতা ভরিয়ে ফেলার পর, ব্যাঙ্কে গিয়ে পাসবুকটি আপডেট করিয়ে নিতে হয়। যত ঘনঘন পাসবুক আপডেট করা হবে, অ্যাকাউন্টের ক্রেডিট ততই বাড়বে।
লাল যেহেতু ভালবাসার রং, তাই নাম লিখতে লাল রংয়ের ব্যবহার বাধ্যতামূলক। বয়স নিয়ে কোনওরকম বিধিনিষেধ নেই এই ব্যাঙ্কে। চাইলে যে কেউ নাম নথিভুক্ত করিয়ে পাসবুক নিতে পারবে। শুধুমাত্র হিন্দুরা নন, চাইলে এই রাম নাম ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন মুসলিম এবং খ্রিস্টানরাও। তাঁদেরও ১০৮ বার করে ভগবান রামের নাম লিখতে হবে।
আরও পড়ুন: প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানে অসঙ্গতি, বিধায়ক খুনে প্রশ্ন ধৃতদের নিয়েও
আরও পড়ুন: নদিয়া তৃণমূলের সভাপতির বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ মুকুলের, পাত্তা দিচ্ছেন না গৌরী
ব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্ট গুঞ্জন ভার্শনে জানান, ‘‘ব্যাঙ্কের তরফে বিনামূল্যেই পাসবুক দেওয়া হয়। গ্রাহকদের রেকর্ড রয়েছে আমাদের কাছে। ভগবান রামের নাম ছাড়া কোনওরকম মুদ্রার লেনদেন হয় না এখানে। খাতার পাতায় ১০৮ বার রামের নাম লেখাকে লিখিত জপ বলা হয়। এতে জীবনের অনেক সমস্যা মিটে যায়। মনে শান্তি আসে।’’ অনলাইনেও ব্যাঙ্কের গ্রাহক হওয়া যায় বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে সে ক্ষেত্রে কপি-পেস্ট করার উপায় থাকবে না। কম্পিউটার বা মোবাইলের মাধ্যমেই ১০৮ বার ভগবান রামের নাম লিখতে হবে।