লোকসভা নির্বাচনে অরুণ জেটলির হারের প্রসঙ্গ টেনে এনে আদালতে খোঁচা দিলেন রাম জেঠমলানী। দুই প্রবীণ আইনজীবীর বাগ্যুদ্ধে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল দিল্লি হাইকোর্ট।
জেটলির বিরুদ্ধে দিল্লি ক্রিকেট সংস্থার দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ এনেছিলেন অরবিন্দ কেজরীবাল। তাই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। সেই মামলাতেই কেজরীবালের আইনজীবী প্রাক্তন বিজেপি নেতা জেঠমলানী। আজকের শুনানিতে জেঠমলানী বলেন, ‘‘২০১৪ সালের ভোটে প্রথম আপনার মানকে বাজি রেখে অমৃতসর থেকে লড়েছিলেন। হেরে গিয়েছেন। আপনার মানের বাকি রইল কী?’’ জবাবে জেটলি বলেন, ‘‘ভোটে জয়-পরাজয় প্রার্থীর মান ছাড়াও অন্য অনেক বিষয়ের উপরে নির্ভর করে। কেজরীবালও ওই নির্বাচনে সা়ড়ে তিন লক্ষ ভোটে হেরেছিলেন।’’ কেজরীবালের হারের কথা উঠতেই তড়িঘড়ি জেটলিকে থামিয়ে দেন জেঠমলানী। দুই আইনজীবীর কথার লড়াইয়ে গত কালও সরগরম ছিল জেরা-পর্ব।
আরও পড়ুন: ভয় পাচ্ছেন মোদী, তোপ রাহুলের
এ দিন সওয়ালে জেঠমলানী জানান, দিল্লি ক্রিকেট সংস্থার দুর্নীতিতে জেটলির জড়়িত থাকার অভিযোগ আসলে এনেছিলেন সাংবাদিক মধু কিস্তওয়ার। কেজরীবাল কিস্তওয়ারের বক্তব্য রি-টুইট করেছিলেন মাত্র। জবাবে সাক্ষীর আসনে থাকা জেটলি বলেন, ‘‘কেবল আমি নয়, আমার স্ত্রী এবং মেয়েও ভুয়ো সংস্থার সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করেন। কিন্তু এক জন মুখ্যমন্ত্রী এমন মানহানিকর মন্তব্য সমর্থন করলে তা ভয়ঙ্কর।’’
প্রাক্তন ক্রিকেটার বিষেণ সিংহ বেদি জেটলির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনেক অভিযোগ এনেছেন। তাঁর সঙ্গে জেটলির ব্যক্তিগত শত্রুতা রয়েছে কি না তা জানতে চান জেঠমলানী। জবাবে জেটলি বলেন, ‘‘না, ওঁর সঙ্গে শত্রুতা নেই। উনি এক বার দিল্লি ক্রিকেট সংস্থার নির্বাচনে লড়ে হেরে গিয়েছিলেন। তার পরে তিনি দিল্লি টিমের চিফ কোচ ছিলেন। লোকসভা ভোটেও বেদি আমার বিরুদ্ধে প্রচার করেছিলেন। কিন্তু আমি বরাবরই সৌজন্য বজায় রেখেছি।’’