অসমে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্তে পুলিশের ‘অস্ত্র’ হতে চলেছে অসম লোকসেবা আয়োগের অধ্যক্ষ রাকেশ পালের মোবাইলের কল-রেকর্ড।
ধৃতের মোবাইল ফোনের কল-রেকর্ড ও অন্যান্য নথি পরীক্ষা করে পুলিশের সন্দেহ, রাষ্ট্রপতি ভবনের কয়েক জন আধিকারিকের সঙ্গেও রাকেশের যোগাযোগ ছিল। ঘনিষ্ঠতা ছিল অসমের পুলিশকর্তাদের সঙ্গে। রাকেশকে টাকা দিয়ে চাকরিপ্রাপ্তদের তালিকা তৈরি করছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে অনেকেই এপিএস বা এসিএস পদে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন বা কাজে নিযুক্ত হয়েছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, রাষ্ট্রপতির দফতরের এক বাঙালি কর্তার ভিজিটিং কার্ড রাকেশের ব্যাগে মিলেছে। রাষ্ট্রপতি ভবনের একাধিক কর্তার সঙ্গে তিনি দীর্ঘক্ষণ ফোনে কথা বলতেন বলেও জেনেছে পুলিশ। রাকেশের বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া তথ্য-প্রমাণ ও ফোনের কল-রেকর্ড থেকে জানা গিয়েছে, অসমের একাধিক পুলিশকর্তা, আমলা, মন্ত্রী ও বিধায়কের সঙ্গে তাঁর নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। কিন্তু ওই সব ব্যক্তির পদমর্যাদার কথা ভেবে, তাঁদের জেরা করার আগে আরও আঁটঘাঁট বেঁধে প্রমাণ সংগ্রহ করতে চাইছেন তদন্তকারীরা। রাজ্য পুলিশের ডিজি মুকেশ সহায় জানিয়েছেন, অন্যায় ভাবে চাকরি পাওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।