প্রতীকী ছবি।
কোভিড রোগীদের চিকিৎসার দায়িত্বে রয়েছেন এমন চিকিৎসাকর্মীদের উপরে হামলায় পাঁচ বছরের জেলের শাস্তির সুপারিশ করে অতিমারি রোগ (সংশোধনী) বিলটি রাজ্যসভায় পাশ করল নরেন্দ্র মোদী সরকার। চিকিৎসাকর্মীদের উপরে হামলা ঠেকাতে গত এপ্রিল মাসে ওই অধ্যাদেশ এনেছিল কেন্দ্র।
মার্চ মাস থেকে গোটা দেশে করোনা সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করে। যে হেতু করোনা সংক্রমিত রোগ, তাই ওই রোগের চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা চিকিৎসাকর্মীদের তাদের বাড়ি, আবাসন, পাড়া-মহল্লাতে ঢুকতে বাধা দেওয়ার বিভিন্ন ঘটনা সামনে আসতে শুরু করে। কিছু ক্ষেত্রে এলাকায় পরীক্ষা করতে গিয়ে চিকিৎসক বা চিকিৎসাকর্মীরা শারীরিক নিগ্রহেরও শিকার হন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এ নিয়ে অভিযোগ আসায় গত এপ্রিলে প্রায় ১২৩ বছর পুরনো অতিমারি আইনে অধ্যাদেশের মাধ্যমে পরিবর্তন আনে কেন্দ্র। আজ সেই অধ্যাদেশটিকে বিল হিসাবে রাজ্যসভায় নিয়ে এসে তা পাশ করানো হল। সংশোধনী বিলে বলা হয়েছে, অতিমারির সময়ে কোনও চিকিৎসাকর্মীর উপরে হামলার ঘটনা কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।
অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে এক মাসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে পুলিশকে। তদন্ত করবেন ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার অফিসার। অভিযুক্তদের তিন মাস থেকে সর্ব্বোচ্চ পাঁচ বছর জেল ও কুড়ি থেকে পঞ্চাশ হাজার জরিমানা করার সুপারিশও করা হয়েছে আইনে। আজ ওই বিলটি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন বলেন, ‘‘অজ্ঞতা ও কুসংস্কারের কারণে মানুষ চিকিৎসাকর্মীদের মারধর করছিলেন। তাঁদের বাড়ি বা আবাসনে ঢুকতে দিচ্ছিলেন না। পরীক্ষা করতে গিয়েও হামলার মুখে পড়েন চিকিৎসাকর্মীরা। কিন্তু অধ্যাদেশ আসার পরে ধীরে ধীরে তা থেমে যায়।’’ অধিকাংশ দলই আজ অধ্যাদেশকে সমর্থন করে। যদিও সপা-র রামগোপাল যাদব বলেন, ‘‘হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি ছিল। কিন্তু বহু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, করোনা রোগীদের জীবনদায়ী ওষুধের কৃত্রিম চাহিদা তৈরি করে ব্যবসায়ীরা দশ গুণ বেশি দামে সেই ওষুধ বিক্রি করছেন। সরকারের উচিত সেই কালোবাজারি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধেও এ ধরনের অধ্যাদেশ আনা। যাতে ওষুধের দাম বেশি নিলে শাস্তির মুখে পড়তে হয় ব্যবসায়ীদের।’’