রাস্তার আরও বিভিন্ন সাইনবোর্ড থেকে ‘রাজপথ’ লেখাটি মুছে ফেলা হয়েছে । ছবি: পিটিআই ।
রাজপথের নাম বদলে হয়েছে ‘কর্তব্যপথ’। আর এই ঘোষণার পর পরই ইন্ডিয়া গেটের কাছে থাকা সাইনবোর্ডগুলি থেকে মুছে ফেলা হল ‘রাজপথ’ লেখা। ৭ সেপ্টেম্বর প্রশাসনের তরফ থেকে ঐতিহাসিক এই রাস্তার নাম পরিবর্তনের জন্য নোটিস জারি হয়। আর সেই কারণেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ইন্ডিয়া গেটের সামনে থাকা সাইনবোর্ডগুলিতে সবুজের উপর সাদা হরফে এত দিন জ্বলজ্বল করত ‘রাজপথ’ লেখা। ইন্ডিয়া গেটের কাছের পথ নির্দেশকের তিনটি সাইনবোর্ডে, ‘শের শাহ সুরি মার্গ’ এবং ‘ডঃ জাকির হুসেন মার্গ’ লেখা থাকলেও মুছে ফেলা হয়েছে সব থকে উপরে লেখা ‘রাজপথ’। রাস্তার আরও বিভিন্ন সাইনবোর্ড থেকেও ‘রাজপথ’ লেখাটি মুছে ফেলা হয়েছে ।
নয়া দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিলের (এনডিএমসি) সূত্রে খবর, সরকারের তরফে নতুন নামকরণের পর কর্তৃপক্ষের তরফে সাইনবোর্ডগুলি থেকে ‘রাজপথ’ লেখা মুছে ফেলার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। খুব শীঘ্রই ওই ফাঁকা জায়গাগুলিতে ‘কর্তব্যপথ’ লেখা হবে বলেও সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। প্রশাসনের তরফে এ-ও জানানো হয়েছে, এই নতুন বোর্ডগুলি সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্প কর্তৃপক্ষের তরফে লাগানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী মোদী ৮ সেপ্টেম্বর ‘কর্তব্যপথ’ উদ্বোধন করেন এবং ৯ সেপ্টেম্বর থেকে এটি জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়। উদ্বোধনের পর মোদী জানান, কিংসওয়ে (রাজপথের আগের নাম) বা রাজপথ দাসত্বের প্রতীক। তাই এই নাম চিরতরে মুছে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রাজপথের নতুন নামকরণের পর বড় সাইনবোর্ডগুলি ইতিমধ্যেই রাস্তার ধারে লাগানো হয়েছে। চারটি আলাদা আলাদা ভাষায় ‘কর্তব্যপথ’ লেখা রয়েছে বোর্ড গুলিতে। নতুন সাইনবোর্ডের সামনে নিজস্বী নিতে ভিড় জমাতে শুরু করেছে তরুণ প্রজন্ম। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা এনডিএমসি-র সদস্য মীনাক্ষী লেখি ৭ সেপ্টেম্বর বলেন, ‘‘স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর রাজপথের নাম পরিবর্তন করা দরকার বলে মনে করা হচ্ছে। সমসাময়িক ভারতের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নতুন নাম রাখা হচ্ছে। কর্তব্যপথ নামটি, দেশ, সমাজ এবং পরিবারের প্রতি মানুষকে কর্তব্য পালন করতে অনুপ্রাণিত করবে।’’
ব্রিটিশ আমলে রাজপথের নাম ছিল কিংসওয়ে। নয়া দিল্লির এই রাস্তা রাইসিনা হিলের রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে বিজয় চক এবং ইন্ডিয়া গেট হয়ে ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়াল থেকে জাতীয় স্টেডিয়াম পর্যন্ত বিস্তৃত। ভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলির মধ্যে এই রাস্তা অন্যতম। ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন এই পথেই কুচকাওয়াজ হয়।