২০২১-এর ১৯ জুলাই থেকে নতুন রূপে ছুটতে শুরু করেছে রাজধানী। মু্ম্বই রাজধানী কোচে আন্তর্জাতিক স্তরের নিরাপত্তা এবং স্বাচ্ছন্দ্য পাবেন যাত্রীরা। মুম্বই-দিল্লি রাজধানীতে রেল অত্যাধুনিক তেজস কোচ নিয়ে এসেছে যাত্রীদের সুবিধার্থে। কী কী রয়েছে?
কোচের মধ্যে দু'টি এলসিডি স্ক্রিন লাগানো রয়েছে। যাত্রা সংক্রান্ত নানা তথ্য এলসিডি পর্দায় ফুটে উঠবে। যেমন পরবর্তী স্টেশনের নাম, দূরত্ব, ওই দূরত্বে পৌঁছতে কত সময় লাগবে, ট্রেনের যথাসময়ে চলছে কিনা এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য দেখা যাবে এলসিডি পর্দায়।
প্রতিটি কোচে একটি করে ডিজিটাল ডেস্টিনেশন বোর্ড রয়েছে। সেটিতেও এলইডি পর্দা রয়েছে। তাতে দু’টি আলাদা সারিতে গন্তব্য এবং ট্রেন সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য দেখতে পারবেন যাত্রীরা। প্রথম সারিতে ট্রেন নম্বর, কোচের ধরন দেখা যাবে। দ্বিতীয় সারিতে একাধিক ভাষায় স্টেশনের নাম দেখা যাবে।
স্বয়ংক্রিয় দরজা থাকছে কোচগুলিতে। মেট্রোয় যেমন কোনও একটি দরজা ঠিকমতো বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত ট্রেন চলে না, এই কোচগুলিতেও তেমন ব্যবস্থা থাকছে।
কোথাও আগুন লাগলে যাত্রীদের সতর্ক করা, তা চিহ্নিত করা এবং স্বয়ংক্রিয় ভাবেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনারও ব্যবস্থা থাকছে প্রতিটি কোচে।
ট্রেনের মধ্যেই কোনও যাত্রী আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁর কাছে যাতে দ্রুত চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া যায়, সে কথা মাথায় রেখেছেন রেল কর্তৃপক্ষ।
কোচে আপৎকালীন পরিস্থিতির জন্য একটি ইলেকট্রো-মেকানিক্যাল সুইচ থাকছে। যাতে হাত পড়লেই গার্ডের কাছে জরুরি পরিস্থিতির বার্তা পৌঁছবে। কোন কোচ থেকে সেই বার্তা এসেছে, তাও জানতে পারবেন গার্ড।
রেলের শৌচালয় নিয়ে প্রায়শই অসন্তুষ্ট থাকেন যাত্রীরা। এ বার বোধ হয় সেই অসন্তোষ দূর হওয়ার সময় এসেছে। মুম্বই রাজধানীর এই আধুনিক কোচের শৌচাগার বেশ চিত্তাকর্ষক। নকশা কাটা আকর্ষণীয় প্যানেলিং করা রয়েছে শৌচাগারের দেওয়ালে। বেসিনটিও আধুনিক ছাঁদের।।
শৌচাগারের ভিতরে থাকা অবস্থায় কোনও যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে কিংবা কোনও রকম বিপদের সম্মুখীন হলে তৎক্ষণাৎ পাশের দেওয়ালে থাকা প্যানিক বোতাম টিপে দিলেই ট্রেনের গার্ডের কাছে বার্তা পৌঁছে যাবে।
শৌচাগার ফাঁকা রয়েছে কি না জানতে দরজা ঠেলে দেখার প্রয়োজন নেই। দরজার বাইরে লাগানো স্বয়ংক্রিয় সেন্সর পর্দায় তা দেখে নিতে পারবেন যাত্রীরা।
কোচগুলিতে এয়ার সাসপেনসন বগি সিস্টেম রয়েছে। ফলে যাত্রা অনেক মসৃণ হবে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্র ঠিক মতো কাজ করছে কি না জানতে পারা যাবে কোচে লাগানো বায়ুর গুণাগুণ পরিমাপের যন্ত্র দিয়েই।
প্রতিটি বসার আসন তৈরি করা হয়েছে সিলিকন ফোম দিয়ে। এগুলি অগ্নি নিরোধক এবং আরামদায়কও।
প্রত্যেক যাত্রীর জন্য মোবাইল ফোন চার্জ দেওয়ার ব্যবস্থা থাকছেই।
দূরপাল্লার ট্রেনে যাঁরা একেবারে উপরের বার্থ পান, অনেক সময়ই উপরের বার্থে উঠতে সমস্যায় পড়তে হয় তাঁদের। সেই সমস্যায় যাতে পড়তে না হয় তা মাথায় রেখেই এই কোচগুলি বানানো হয়েছে।