ছবি: পিটিআই।
শুক্রবার রাজভবনে ধর্নায় বসেছিলেন রাজস্থানের কংগ্রেসের বিধায়কেরা। এ বার মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত জানালেন, প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতি ভবনে ধর্নায় বসবেন তিনি।
সচিন পাইলট বিদ্রোহ করলেও তাঁর পক্ষেই বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে প্রমাণ করতে অশোক গহলৌত রাজ্যপালের কাছে বিধানসভার অধিবেশন ডাকার আর্জি জানিয়েছিলেন। কিন্তু রাজ্যপাল সাড়া না দেওয়ায় শুক্রবার রাজভবনে কংগ্রেস বিধায়কেরা ধর্নায় বসেন। ঠিক হয়, রাজ্যপালের কাছে নতুন প্রস্তাব পাঠানো হবে। আজ জয়পুরে কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের বৈঠকে গহলৌত বলেন, অচলাবস্থা জারি থাকলে প্রয়োজনে তিনি রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের শরণাপন্ন হবেন। প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতি ভবনে ধর্নায় বসা হবে।
রাজভবনের তরফে শুক্রবারই আধ ডজন প্রশ্ন তুলে বলা হয়েছিল, রাজ্য সরকার সোমবার থেকেই বিধানসভার অধিবেশন ডাকতে চাইলেও রাজ্যপালের কাছে পাঠানো প্রস্তাবে বিধানসভার প্রস্তাবিত কর্মসূচি জানানো হয়নি। তা ছাড়া অন্তত ২১ দিন আগে রাজ্যপালকে প্রস্তাব পাঠাতে হয়। আজ গহলৌত তাঁর অনুগামী বিধায়কদের জানিয়েছেন, দরকার হলে আরও ২১ দিন ফেয়ারমন্ট হোটেলে থাকতে হতে পারে। সচিন পাইলট শিবিরের উপরেও গহলৌত সরকার চাপ তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আজ বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস বিধায়ক ভাঁওয়ার লাল শর্মার খোঁজে রাজস্থান পুলিশ মানেসরের হোটেলে গিয়ে সিসিটিভি ফুটেজ ও অতিথিদের তালিকা জোগাড় করেছে। ভাঁওয়ার লালই কংগ্রেস বিধায়কদের টাকা দিয়ে ভাঙানোর চেষ্টা করছিলেন বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: শ্রমিক স্পেশালে আয় ৪৩০ কোটি, ‘গরিবদের লুট’
কংগ্রেস নেতৃত্বের অভিযোগ, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার রাজ্যপালকে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কাজে লাগাচ্ছে। এর প্রতিবাদে সোমবার সমস্ত রাজ্যের রাজভবনের সামনে প্রতিবাদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস। রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার চালানো হবে। রাজ্যপালের উপর চাপ তৈরির অভিযোগ তুলে আজ বিজেপি নেতারা রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক করেন। বিজেপি নেতা রাজেন্দ্র সিংহ রাঠোর বলেন, রাজ্যে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, অধিবেশন ডাকার নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া রয়েছে। রাজভবনে ধর্না দেওয়াটা তার মধ্যে পড়ে না। কংগ্রেস অতিমারি আইন ভাঙছে বলেও অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। রাজনৈতিক শিবিরের মতে, রাজস্থানের রাজ্যপাল গহলৌত সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে না। কিন্তু মন্ত্রিসভার পরামর্শ মেনে অধিবেশন ডাকতেও রাজি হচ্ছেন না।