—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
রাজস্থান বাদে বাকি চার রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু মরুরাজ্যে আগামী পাঁচ বছরের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে কে বসছেন, তা নিয়ে এখনও জল্পনাকল্পনা চলছে। এই আবহেই সোমবার বিকেলে জয়পুরে বিজেপির দলীয় দফতরে বৈঠকে বসছেন নবনির্বাচিত বিজেপি বিধায়কেরা। বৈঠকে থাকবেল দলের তরফে নিযুক্ত পর্যবেক্ষক তথা কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। থাকবেন দুই সহ-পর্যবেক্ষক বিনোদ তাওড়ে এবং সরোজ পাণ্ডেও।
রাজস্থান বিজেপির সাধারণ সম্পাদক তথা বিধায়ক ভজনলাল শর্মা বলেন, “বিজেপির দলীয় দফতরে বিকেল ৪টে থেকে বৈঠক শুরু হবে। দলের নতুন বিধায়কদের নাম নথিভুক্তকরণ শুরু হয়ে যাবে দুপুর দেড়টা থেকে।”
মুখ্যমন্ত্রী পদে যে সমস্ত নাম নিয়ে জল্পনা চলছে, তার মধ্যে সবার প্রথমেই আসছে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজের নাম। এ ছাড়াও চর্চায় রয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াত, সদ্যজয়ী তিন সাংসদ মহন্ত বালকনাথ, দিয়া কুমারী এবং রাজ্যবর্ধন রাঠৌরের নাম। তুলনায় কম হলেও কুর্সির দৌড়ে আছেন প্রাক্তন দুই রাজ্য সভাপতি, ওপি মাথুর ও সতীশ পুনিয়ার নাম। বিজেপির একটি সূত্র আবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এবং লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার নামও ভাসিয়ে দিচ্ছে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন, ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী পদে আদিবাসী নেতা বিষ্ণুদেও সাই এবং মধ্যপ্রদেশে অনগ্রসর (ওবিসি) নেতা মোহন যাদবের পরে এ বার জাতপাতের সমীকরণ মাথায় রেখে রাজস্থানে কোনও ‘উচ্চবর্ণের’ নেতাকে মুখ্যমন্ত্রী বাছতে পারেন বিজেপি শীর্ষনেতৃত্ব। এ ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পেতে পারে দলের দীর্ঘদিনের ‘ভোটব্যাঙ্ক’ রাজপুতেরা। বসুন্ধরা রাজপুত কন্যা হলেও ঢোলপুরের জাঠ রাজবংশের ঘরণী। অন্য দিকে, দীয়া রাজপুত রাজবংশের সন্তান। বালকনাথ ওবিসি জনগোষ্ঠীর নেতা।
দু’বারের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা এ বার তাঁর পুরনো কেন্দ্র ঝালারাপাটনে জিতলেও নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহদের ‘সুনজরে’ না থাকায় তাঁর পক্ষে মুখ্যমন্ত্রী হওয়া কঠিন বলে দলের একটি অংশ মনে করছে। এই পরিস্থিতিতে ঢোলপুরের মহারানির ‘রণকৌশল’ নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে দলের অন্দরে। সেই জল্পনা উস্কে গত সোমবার জয়পুরের নিজের সরকারি নিবাস ১৩ নম্বর সিভিল লাইন্সে বিজেপির ২০ জন বিধায়ককে নিয়ে বৈঠক করেছিলেন বসুন্ধরা।