রাজ ঠাকরে। —ফাইল চিত্র।
লোকসভা নির্বাচনে গলা মিলিয়েছিলেন বিরোধীদের সঙ্গে। মহারাষ্ট্রে শিবসেনা বিজেপির সঙ্গে জোট ভেঙে সরকার গড়ার পর থেকে বিজেপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াচ্ছেন রাজ ঠাকরে। ক’দিন আগে সমাবেশ করে বলেছেন, ‘বাংলাদেশি আর পাকিস্তানিদের’ দেশ থেকে তাড়াতে হবে। শোনামাত্র তাঁর দলের কর্মীরা বাস্তবিকই মাঠে নেমে পড়েছেন ‘সন্দেহভাজন’দের খুঁজে বার করার কাজে।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার কর্মীরা ইদানীং মুম্বইয়ের নিম্নমধ্যবিত্ত এলাকাগুলিতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ‘কাগজ’ দেখতে চাইছেন। এ জন্য রীতিমতো একটি কর্মিগোষ্ঠী তৈরি করেছেন তাঁরা। সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিকে সঙ্গে নিয়েই এমএনএস-এর উত্তর মুম্বই ইউনিট প্রধান নয়ন কদম বোরিভিলির চিকুওয়াড়ি এলাকায় ঢুকলেন। বেছে বেছে কাঁচা বাড়িগুলিতে ঢুকে নথিপত্র দেখতে চাইলেন। একজন জানালেন, তাঁর কাগজপত্র রয়ে গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বাড়িতে। রিপোর্টার সঙ্গে সঙ্গে মন্তব্য করলেন, পরিবারটি ‘সন্দেহজনক’!
কদম নিজে পরে বললেন, ‘‘এই মানুষগুলো অন্য উচ্চারণে কথা বলেন। আমাদের পরিচিত বাঙালিদের চেয়ে ওঁদের কথার ধরন আলাদা। সেই কারণেই আমাদের সন্দেহ, চিকুওয়াড়ি এলাকা ভরে গিয়েছে বাংলাদেশিতে।’’ তিনি কবুল করলেন, দলের প্রতিটি ইউনিট প্রধানকে এই রকম নজরদার গোষ্ঠী তৈরি করতে বলা হয়েছে। ‘সন্দেহভাজন’ কাউকে দেখলেই তারা পুলিশকে জানাবে। এর আগে এমএনএস তার জন্মলগ্নে রাজ্যে বিহার-উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছিল। একটি রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে এই রকম নজরদারি চালানো কি বেআইনি নয়? কদমের দাবি, যারা বেআইনি ভাবে এ দেশে থাকছে, তাদের চিহ্নিত করাটা বেআইনি নয়।