রাজ বব্বর। ফাইল চিত্র।
গোয়ার পর উত্তরপ্রদেশ? তরুণ প্রজন্মকে দলের নেতৃত্ব উঠিয়ে আনার যে ডাক দিয়েছিলেন রাহুল গাঁধী, সেই বার্তায় সাড়া দিয়ে না কি উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেস প্রধানের দায়িত্ব থেকে রাজ বব্বর ইস্তফা দিয়েছেন বলে খবর। যদিও এখনও পর্যন্ত সেই খবরের সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই নিয়ে সরাসরি কিছুনা বললেও রাজ বব্বরের প্রতিক্রিয়া: ‘‘দল আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছিল, তা পালনের জন্য আমি চেষ্টা করেছি। সফল হয়েছি নাকি ব্যর্থ, তা ঠিক করবে হাইকম্যান্ড।’’
মঙ্গলবারই গোয়ার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ ছেড়েছেন শান্তারাম নায়েক। ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই কি রাজ বব্বর? জল্পনা তুঙ্গে। তবে কংগ্রেসের অন্দরে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছ, দিন কয়েকের মধ্যেই বয়সের কারণে আরও বেশ কয়েকজন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে ইস্তফা দিতে পারেন।
কিন্তু কেন এই অবস্থা?সদ্যসমাপ্ত কংগ্রেসের প্লেনারি অধিবেশনে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী বলেছিলেন, ‘‘দল যাতে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে সেই দিকে তাকিয়ে তিনি নেতৃত্বে অল্পবয়সীদের আনার পক্ষপাতী।’’ কংগ্রেসে অনেকেরই ধারণা, রাহুলের এই বক্তব্যকে শুধুমাত্র কথার কথা বলে ভাবলে ভুল হয়ে যাবে। হয়তো ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে দলে রদবদল ঘটানো হবে। বিশেষ করে রাহুল তাঁর বক্তব্যে তরুণ প্রজন্মকে তুলে আনার কথা বলায় প্রদেশ কংগ্রেসের শীর্ষপদে যে বয়স্করা রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে দানা বাঁধছে আশঙ্কা। মনে করা হচ্ছে, অসম্মানিত হয়ে বিদায় নেওয়ার বদলে, পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে সম্মানের সঙ্গে বিদায় নেওয়ার যে রাস্তা তুলে ধরেছেন গোয়ার শান্তারাম নায়েক, তা হয়তো অনুসরণ করবেন অনেকেই।
আরও পড়ুন: জোট ভাঙতে নতুন কৌশল বিজেপির
কিন্তু কথা হচ্ছে, শান্তারামের বয়স না হয় ৭২। তুলনায় রাজ বব্বর তো বেশ খানিকটা ছোট। রাজনীতি থেকে অবসরের বয়সও নয় ৬৫, তবু কেন এই বয়সেই তিনি আশঙ্কিত? বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা, বয়সের ভারে নয়,সিনেমার জগত্ থেকে রাজনীতিতে পা দেওয়া রাজ বব্বর পিছিয়ে পড়েছেন নির্বাচনের ময়দানে। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর ও ফুলপুরে যে উপনির্বাচন হয়েছে, তাতে দুই আসনেই কংগ্রেসের জামানত জব্দ হয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে রাজ বব্বর যে ভরাডুবির দায়িত্ব অস্বীকার করতে পারেন না , সেটা তিনিও জানেন।যদিও তাঁর বক্তব্য, যতটা তাঁর ক্ষমতা, তিনি সবটাই করেছেন। বাকিটুকু হাইকম্যান্ডের হাতে।