rainfall

Monsoon: আশার কথা শোনাল মৌসম ভবন, উত্তর ভারতে বৃষ্টি বয়ে আনছে ভিজে বাতাস

বৃহস্পতিবার রাজধানীর তাপমাত্রা ছিল ৪১.৮ ডিগ্রি। তবে শুক্রবার বজ্রপাত-সহ বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২১ ০৯:৫৮
Share:

প্রতীকী ছবি

তাপপ্রবাহে পুড়ছে দিল্লি-সহ উত্তর ভারত। তবে আশার কথা শুনিয়েছে মৌসম ভবন। শনিবার ১০ জুলাইয়ের মধ্যে ভিজে বাতাস ঢুকতে চলেছে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে তারা। যার কারণে বৃষ্টি হতে পারে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারও দিল্লিতে তাপপ্রবাহ জারি ছিল। বৃহস্পতিবার রাজধানীর তাপমাত্রা ছিল ৪১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ ডিগ্রি বেশি। তবে শুক্রবার বজ্রপাত-সহ বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ১০ জুলাইয়ের মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান এবং দিল্লির আরও কিছু অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ় ও ওড়িশায় আগামী ৫ দিন ব্যাপক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের কারণে জম্মু ও কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ এবং পূর্ব রাজস্থান-সহ উত্তর-পশ্চিম ভারতে বৃষ্টি হতে পারে।

Advertisement

সমতলে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলে তাপপ্রবাহ বলা হয়। দিল্লির পার্শ্ববর্তী শহর গুরুগ্রামে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ইতিমধ্যেই ছুঁয়েছে ৪৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। হরিয়ানা, পঞ্জাবেও তাপমাত্রা কমার লক্ষণ দেখা যায়নি। হরিয়ানার হিসার, রোহতক এবং অম্বালা-সহ কয়েকটি শহরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে ৪৩ ডিগ্রি। পঞ্জাবের অমৃতসর ও পাটিয়ালায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে, যা স্বাভাবিকের থেকে ৬ ডিগ্রি উপরে। তাপপ্রবাহের মধ্যেই উত্তর ভারতের রাজ্যগুলিতে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। হরিয়ানায় সর্বোচ্চ বিদ্যুতের চাহিদা গত বছরের তুলনায় ১১.২৫ শতাংশ বেড়েছে। পঞ্জাবের বিদ্যুতের ঘাটতির কারণে সমস্যায় সাধারণ মানুষ।

রাজস্থানে পরিস্থিতি আরও খারাপ। বৃষ্টিপাত না হওয়াতে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি দেখা গেছে কয়েকটি জেলায়। শ্রীগঙ্গানগরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৪.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা রাজ্যের সবচেয়ে উষ্ণতম স্থান। পিলানি, আলওয়ার, ধলপুর এবং পালিতেও তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রির আশপাশে। এদিকে, ভারী বৃষ্টির কারণে বৃহস্পতিবার উত্তরাখণ্ডে একটি সেতু ভেঙে পড়ে। যার কারণে রাজ্যের বাকি সীমান্তবর্তী জেলাগুলি থেকে দারমা, ব্যাস এবং চৌদাস এলাকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এই সেতুটি ভারত-চিন সীমান্তের কাছে তনাকপুর-তওয়াঘাট জাতীয় সড়কে কুলাগার নদীর উপরে নির্মাণ করা হয়েছিল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement