৭২ ঘণ্টার টানা বৃষ্টিতে অসমের ধুবুরি, গোয়ালপাড়া, কামরূপ এবং মেঘালয়-অরুণাচলপ্রদেশে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। ধস, হড়পা বানে মৃত্যু হয়েছে অনেকের। সরকারি হিসেবে, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মৃতের সংখ্যা ২০। সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে। আগামি ৪৮ ঘণ্টা বৃষ্টি চলবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ মুখ্য সচিব জিতেশ খোসলাকে ত্রাণ ও উদ্ধারকাজ তদারকের নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, কামরূপ, ধুবুরি ও গোয়ালপাড়ায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। আজ সকালে গোয়ালপাড়া ও গারো পাহাড়ের সীমানায় বলবলা হালধিবাড়ি এলাকায় ধস ও হড়পা বানে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। গোয়ালপাড়ার কৃষ্ণাই, দুধনৈ, হাটশিঙিমারিতে গ্রামবাসীদের উদ্ধার করতে নেমেছে বিএসএফ। ধুবুরির দক্ষিণ শালমারার পরিস্থিতিও খারাপ। দুই জেলায় এনডিআরএফ ও এসডিআরএফ বাহিনী পাঠানো হয়েছে।
গুয়াহাটিতেও বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। গত রাত থেকে শহরের বেশিরভাগ এলাকা বিদ্যুৎহীন। নবীন নগর, অনিল নগরে ভরলু নদীর জল উপচে শহরে ঢুকছে। ব্রহ্মপুত্রের জলে প্লাবিত মালিগাঁও, পাণ্ডু। শহরের বিভিন্ন জায়গায় ধসও নেমেছে। পাহাড়ের বাসিন্দাদের নেমে আসতে বলেছে প্রশাসন। খোলা হয়েছে ত্রাণশিবির। বকোতে বন্যার জন্য জাতীয় সড়কের চার ফুট উপর দিয়ে বইছে। মেঘালয় ও অরুণাচলেও বৃষ্টি এবং ধস নেমেছে। উদ্ধারে নেমেছে সেনা। রাঙানদীর জলে লখিমপুরের ৭০টি গ্রাম ডুবেছে। জেলাশাসক মোনালিসা গোস্বামী জানান, ব্রহ্মপুত্র, জিয়াঢলের জল গ্রামে ঢুকছে। লালি নদীর জলও বাড়ছে।
আঞ্চলিক আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডে তৈরি নিম্নচাপ বলয়ের জেরে উত্তর-পূর্বে এমন পরিস্থিতি হয়েছে। বৃষ্টি চলবে আরও দু’দিন।