প্রতীকী চিত্র।
পুরনো নিয়ম ফিরছে। ট্রেন ছাড়ার ৪ ঘণ্টা আগে প্রথম এবং ৩০ থেকে ৫ মিনিট আগে দ্বিতীয় সংরক্ষণ তালিকা প্রকাশ করা হবে। মাঝের সময়টায় খালি থাকা আসনের জন্য টিকিট কাটা যাবে। করোনা পরিস্থিতির জন্য বন্ধ থাকা এই নিয়ম ফের ১০ অক্টোবর থেকে চালু হচ্ছে।
দেশে করোনা অতিমারির জন্য লকডাউন চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বন্ধ হয়ে যায় স্বাভাবিক ট্রেন পরিষেবা। এর পরে দফায় দফায় বেশ কিছু স্পেশাল ট্রেন চালু হলেও কিছু সুবিধা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তারই মধ্যে একটি ছিল দ্বিতীয় সংরক্ষণ তালিকা প্রকাশ। পুরনো নিয়ম অনুযায়ী, ট্রেন ছাড়ার নির্দিষ্ট সময় বা পরিবর্তিত সময়ের চার ঘণ্টা আগে একটি সংরক্ষণ তালিকা প্রকাশ করা হত। এর পরেও খালি থাকা আসনের জন্য যাত্রীরা টিকিট কাটার সুযোগ পেতেন রেলের কাউন্টার থেকে বা অনলাইনে। দ্বিতীয় সংরক্ষণ তালিকা প্রকাশের আগে পর্যন্ত এই সুযোগ পাওয়া যেত। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে সেই সুযোগ বন্ধ করে দিয়ে রেল একটিই সংরক্ষণ তালিকা প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেয়। সেই মতো এখন ট্রেন ছাড়ার নির্দিষ্ট সময় বা পরিবর্তিত সময়ের দু’ ঘণ্টা আগে একটিই সংরক্ষণ তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে। সেটি প্রকাশ হয়ে গেলে আর টিকিট কাটার সুযোগ নেই।
আগামী ১০ অক্টোবর থেকে ফিরে আসছে পুরনো ব্যবস্থা। ফের প্রকাশ করা হবে দ্বিতীয় সংরক্ষণ তালিকা। আর প্রথম ও দ্বিতীয় সংরক্ষণ তালিকা প্রকাশের মাঝের সময়টায় টিকিট রিজার্ভেশনের পাশাপাশি ক্যানসেলও করা যাবে। নিয়ম মতো টিকিটের টাকা রিফান্ডও পাওয়া যাবে। টিকিট কাটা বা বাতিল করার সুযোগ রেলের কাউন্টারের পাশাপাশি আইআরসিটিসি ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ থেকেও মিলবে।
আরও পড়ুন: সোজা ব্যাটে খুদে ‘সচিন’-এর শট দেখলে চমকে যাবেন
আরও পড়ুন: ১০ বছরে ১০ সন্তানের মা, তাও থামতে চান না
উল্লেখ্য, ১৫ অক্টোবর থেকে উৎসবের মরশুমে নতুন কমপক্ষে ২০০টি স্পেশাল ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা করেছে ভারতীয় রেল। কদিন আগেই সেই ঘোষণা করেছেন রেলবোর্ডের সিইও বিনোদকুমার যাদব। তার আগেই দ্বিতীয় সংরক্ষণ তালিকা প্রকাশ চালু হয়ে যাচ্ছে। লকডাউন ঘোষণার শুরু থেকে বন্ধ হয়ে যায় নিয়মিত ট্রেন চলাচল। ২৫ মার্চ বন্ধ হওয়া পরিষেবা মে মাস থেকে একটু একটু করে চালু হয়। ১২ মে প্রথম পর্যায়ে চালু হয় ১৫ জোড়া ট্রেন। এর পরে ১ জুন থেকে চলে আরও ১০০ জোড়া এবং ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৪০ জোড়া স্পেশাল প্যাসেঞ্জার ট্রেন। ১২ সেপ্টেম্বর থেকে চালু হয় ২০ জোড়া ক্লোন ট্রেন। এছাড়াও লকডাউনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় আটকে থাকা পরিযায়ী শ্রমিক, তীর্থযাত্রী, পর্যটক, পড়ুয়াদের ঘরে ফেরার জন্য স্পেশাল ট্রেন চালিয়েছে রেল। রেলের বক্তব্য, প্রতিদিন দেশের করোনা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। কোন ট্রেনে কেমন সংখ্যক যাত্রী হচ্ছে তার হিসেবও রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন রাজ্য সরকারের সঙ্গেও যোগাযোগ রেখে দেখা হচ্ছে, কোথায় কোথায় ট্রেন চালানো দরকার। সেটা বুঝে প্রয়োজন মতো ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হবে।