প্রতীকী ছবি।
খরচ কমাতে পানীয় জলেও নিয়ন্ত্রণ শুরু করে দিল রেল।
‘বাজে খরচ’ কমাতে সম্প্রতি রেলের এক নির্দেশে বলা হয়েছে, কর্মী ও অফিসারদের আর বোতলবন্দি জল দেওয়া হবে না। বাড়ি থেকে আনা বা দফতরে বসানো বৈদ্যুতিন যন্ত্রের পরিশুদ্ধ জল খেতে হবে।
কী রকম বাজে খরচ? রেল সূত্রের খবর, ট্রেন ও স্টেশনে পানীয় জলের বোতলের দৈনন্দিন চাহিদার বেশির ভাগটাই মেটানো যায় না। অথচ দিল্লির রেল ভবনে কর্মী-অফিসারদের জন্য রোজ লাগে কমবেশি ১০০০ বোতল ‘রেল নীর’। রেলের সংস্থা আইআরসিটিসি-র প্ল্যান্টে তৈরি এক বোতল রেল নীরের দাম পড়ে প্রায় ১৫ টাকা। অর্থাৎ রেল ভবনে বোতলবন্দি রেল নীরের জন্যই রোজ খরচ হয় গড়ে ১৫ হাজার টাকা। সেই খরচ কমাতেই এই ব্যবস্থা।
রেল ভবনে পানীয় জল জোগাতে তিনটি ‘রিভার্স অসমোসিস’ যন্ত্র বসানো হয়েছে। রেলকর্তাদের দাবি, ওই যন্ত্রের জলের মান পরীক্ষিত। প্রথম দিকে রেলের কর্মীদের একাংশ সংশয় প্রকাশ করলেও শেষ পর্যন্ত সকলকেই নতুন ব্যবস্থা মেনে নিতে হয়েছে। তবে সরকারি বৈঠক বা সম্মেলনের ক্ষেত্রে বোতলের জল দেওয়ার ব্যবস্থা চালু থাকছে। রেলের ডিভিশন বা আঞ্চলিক অফিসে অবশ্য বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বোতলবন্দি জল ব্যবহারের চল নেই। রেলের হিসেব, যাত্রিবাহী ট্রেন ও স্টেশনে প্রতিদিন ১৬ লক্ষ বোতল রেল নীরের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু রেলের নিজস্ব প্ল্যান্টে উৎপন্ন হয় মাত্র ছ’লক্ষ বোতল। চাহিদা ও জোগানের মধ্যে বিস্তর ফারাক থাকায় যাত্রীদের বেশি দামে অন্য সংস্থার জল কিনতে হয়।
রেল নীর বিক্রি থেকে আইআরসিটিসি-র লাভ থাকে অনেকটাই। তাই সংস্থার আয় বাড়াতে অতিরিক্ত ১০০০ কোটি টাকা খরচ করে ১১টি নতুন প্ল্যান্ট বসানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।