ফাইল ছবি
পঞ্জাবের পর ভোটমুখী রাজ্য উত্তরাখণ্ডেও দলে অন্তর্কলহ শুরু হওয়ায় গাঁধী পরিবারকে ফের মাঠে নামতে হল। তাঁকে দলের মধ্যেই বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে বলে উত্তরাখণ্ডের প্রবীণ নেতা হরিশ রাওয়ত মুখ খোলার পরে আজ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন বলে সূত্রের খবর। শুক্রবারই রাহুল গাঁধী হরিশ ও উত্তরাখণ্ডের অন্য নেতাদের সঙ্গে দিল্লিতে বৈঠক করতে পারেন। বৈঠকে প্রদেশ সভাপতি গণেশ গোড়িয়াল, পরিষদীয় দলনেতা প্রীতম সিংহ থাকবেন। বৈঠক অবশ্য নির্ধারিতই ছিল বলে দলের দাবি।
হরিশ রাওয়ত এত দিন পঞ্জাবের দায়িত্বে ছিলেন। তাঁর সময়েই অমরেন্দ্র সিংহ বনাম নভজ্যোত সিংহ সিধু বিবাদ চরমে ওঠে। অমরেন্দ্রকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরানোর পর তিনি দল ছাড়েন। সে দিকে ইঙ্গিত করেই পঞ্জাবের কংগ্রেস সাংসদ মণীশ তিওয়ারি আজ হরিশকে কটাক্ষ করে বলেছেন, কর্মফল পুরোপুরিই ভোগ করতে হবে। অমরেন্দ্রও একই কটাক্ষ করেছেন রাওয়তকে।
বুধবার হরিশ অভিযোগ তোলেন, শীর্ষ নেতৃত্বই তাঁর জন্য ভোটের সমুদ্রে কুমির ছেড়ে রেখেছেন এবং শীর্ষ নেতৃত্বের চেলাচামুণ্ডারাই তাঁকে কাজে বাধা দিচ্ছেন বলে তিনি অভিযোগ তোলেন। কংগ্রেস শীর্ষ সূত্রের দাবি ছিল, হরিশ আসলে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করা ও টিকিট বণ্টনে পূর্ণ ক্ষমতা পাওয়ার জন্য চাপ তৈরি করছেন। তাৎপর্যপূর্ণ হল, আজ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি গোড়িয়াল দাবি করেছেন, তিনিও একই সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন। তবে হাইকমান্ডের সঙ্গে বৈঠকে সমাধান মিলবে বলে তাঁর আশা। হরিশের মিডিয়া উপদেষ্টা সুরেন্দ্র কুমারের দাবি, কংগ্রেসের কিছু নেতা বিজেপির হয়ে কাজ করছেন। তাঁরা উত্তরাখণ্ডে কংগ্রেসের ক্ষমতায় ফেরার সম্ভাবনায় জল ঢালতে ব্যস্ত।