National News

চিনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক রাহুল গাঁধীর, অস্বীকার করেও ঢোঁক গিলল কংগ্রেস

চিনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে রাহুল গাঁধীর বৈঠকের এই খবর নিয়ে মিডিয়াতে হইচই শুরু হয়ে যায় নিমেষে। তখনই আসরে নামে রাহুলের দল। কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়, রাহুল চিনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করেননি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০১৭ ১৯:২৫
Share:

বৈঠকের কথা প্রথমে মানতেই চাইল না কংগ্রেস। পরে স্বীকার করা হল। সব মিলিয়ে রাহুল অস্বস্তিতেই। ছবি: পিটিআই।

ভারত এবং চিনের মধ্যে সীমান্তে তুমুল টানাপড়েনের মধ্যেই চিনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করেছেন কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধী। এ খবর জানাজানি হওয়া মাত্রই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল গোটা দেশের রাজনৈতিক মহলে। চিনা দূতাবাসের ওয়েবসাইটেই প্রথমে প্রকাশ করা হয়েছিল খবরটি। কিন্তু কংগ্রেস তা অস্বীকার করায় চিনা ওয়েবসাইট থেকে খবরটি তড়িঘড়ি সরিয়ে ফেলা হয়। পরে কংগ্রেসের তরফেই মেনে নেওয়া হল, রাহুল গাঁধী নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূত লুও ঝাওহুই-এর সঙ্গে দেখা করেছেন। তবে শুধু চিনের নয়, ভুটানের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গেও কংগ্রেস সহ-সভাপতি দেখা করেছেন বলে দলের তরফে জানানো হয়েছে।

Advertisement

চিনা দূতাবাসের ওয়েবসাইটে সোমবার জানানো হয়েছিল, নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূত লুও ঝাওহুই-এর সঙ্গে রাহুল গাঁধী দেখা করেছেন। চিন-ভারত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বর্তমানে যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, তা নিয়ে দু’জনের মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলেও সেখানে লেখা হয়।

চিনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে রাহুল গাঁধীর বৈঠকের এই খবর নিয়ে মিডিয়াতে হইচই শুরু হয়ে যায় নিমেষে। তখনই আসরে নামে রাহুলের দল। কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়, রাহুল চিনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করেননি। কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা অভিযোগ করেন, বিদেশ মন্ত্রক এবং আইবি কিছু অনুগামী (‘ভক্ত’) চ্যানেলকে দিয়ে মিথ্যা খবর রটাচ্ছে।

Advertisement

অস্বস্তি ঢাকতে এই ছবি নিয়ে এখন প্রশ্ন তুলছে কংগ্রেস। সীমান্তে টানাপড়েনের মধ্যেই যখন দেখা হল চিনফিং-এর সঙ্গে, তখন মোদী কেন নিজের দৃঢ় অবস্থান দেখালেন না, কংগ্রেসের তরফে প্রশ্ন তোলা হল তা নিয়েই। —ফাইল চিত্র।

রাহুল এবং ঝাওহুই-এর বৈঠকের কথা কংগ্রেস অস্বীকার করতেই চিনা দূতাবাসের ওয়েবসাইট থেকে খবরটি সরিয়ে ফেলা হয়। ফলে ওয়েবসাইটে ঢুকেও আর খবরটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। কিন্তু ততক্ষণে গোটা দেশেই হইচই শুরু হয়েছে রাহুল-ঝাওহুই বৈঠকের খবর নিয়ে। তাই আর অস্বীকারের পথে হাঁটেনি কংগ্রেস। সেই রণদীপ সুরজেওয়ালাই আগের বয়ান থেকে পিছু হঠে জানান, চিনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কংগ্রেস সহ-সভাপতির বৈঠক হয়েছে। তবে শুধু চিনা দূত নন, ভুটানের দূতের সঙ্গেও রাহুলের কথা হয়েছে বলে সুরজেওয়ালা দাবি করেন। রাহুল গাঁধী যে বেজিং-এর দিকে ঝুঁকে নেই, তা বোঝাতেই ভুটানের দূতের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের প্রসঙ্গ তোলা হয় বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মত।

আরও পড়ুন: ডোকলাম থেকে ভারত না সরলে কাশ্মীরে ঢুকতে পারে চিন: প্রচ্ছন্ন হুমকি শুরু

বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত এবং কূটনীতিকই কংগ্রেস সভানেত্রী এবং সহ-সভাপতির সঙ্গে দেখা করেন বলে সুরজেওয়ালা এ দিন জানিয়েছেন। চিনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে রাহুলের বৈঠক যে অস্বাভাবিক কোনও ঘটনা নয়, আসলে সে কথাই বোঝানোর চেষ্টা করেছেন তিনি। কংগ্রেসের আর এক মুখপাত্র মণীশ তিওয়ারিও বিষয়টি নিয়ে বিকেলের দিকে সরব হন। সীমান্তে যখন টানাপড়েন চলছে, তখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কেন হামবুর্গে চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং-এর সঙ্গে আলাদা করে দেখা করলেন, কেন ভারতের তিন জন মন্ত্রী এর মধ্যেই বেজিং-এর আতিথেয়তা গ্রহণ করলেন? প্রশ্ন তোলেন মণীশ। কিন্তু রাহুল কেন হঠাৎ চিনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করলেন, সে খবর প্রথমে গোপন রাখা হল কেন, কেনই বা খবর প্রকাশ্যে আসার পর প্রথমে তার সত্যতা অস্বীকার করা হল, এ সব প্রশ্নের কোনও উত্তর কংগ্রেস মুখপাত্ররা দেননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement