রাহুল গান্ধী। ছবি: পিটিআই।
রাজস্থানের বিধানসভা ভোটে প্রচারে রাহুল গান্ধী নেই কেন? এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে অনেক আগেই। রাজস্থানের ভোট ঘোষণার এক মাস কেটে যাওয়ার পরে অবশেষে দীপাবলি-ভাইফোঁটার পরে রাহুল গান্ধী রাজস্থানে ভোটের প্রচারে যাচ্ছেন। তবে রাজস্থানের বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণের মাত্র ন’দিন আগে। আগামী ২৫ নভেম্বর রাজস্থানের ২০০ আসনের বিধানসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ।
মল্লিকার্জুন খড়্গে, সনিয়া গান্ধীর পরেই কংগ্রেসের তারকা প্রচারকের তালিকায় রাহুলের নাম থাকলেও তিনি এখনও রাজস্থানে প্রচারে যাননি। অথচ মিজ়োরাম থেকে তেলঙ্গানা, ছত্তীসগঢ় থেকে মধ্যপ্রদেশে একাধিক বার প্রচার করেছেন রাহুল। রাজনৈতিক শিবিরে প্রশ্ন উঠেছে, অন্য রাজ্যের তুলনায় রাজস্থানে কংগ্রেস জয়ের আশা কম দেখছে বলেই কি রাহুল মরু-রাজ্যে বেশি সময় ব্যয় করতে চাইছেন না? কারণ গত তিন দশক ধরেই রাজস্থানে পাঁচ বছর অন্তর ক্ষমতা বদল হয়ে এসেছে। সেই হিসেবে এ বার কংগ্রেসকে সরিয়ে বিজেপির ক্ষমতায় আসার কথা। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত অবশ্য তাঁর জনমুখী প্রকল্প ও বিজেপির অন্তর্কলহের সুযোগ নিয়ে ফের কংগ্রেস ক্ষমতায় আসবে বলে দাবি করছেন।
কংগ্রেস শিবিরের আবার জল্পনা, রাহুল গান্ধী রাজস্থানে কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা নিয়ে খুশি নন। বিশেষ করে অশোক গহলৌত যে ভাবে তাঁর অনুগামীদের টিকিট দিয়েছেন, তাতে রাহুল অসন্তুষ্ট। বিশেষত গত বছর কংগ্রেস হাইকমান্ড যখন গহলৌতকে কংগ্রেসের সভাপতি করার উদ্যোগ নিয়ে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিল তখন যে সব বিধায়কেরা বিদ্রোহ করেছিলেন তাঁদেরও গহলৌতের চাপে এ বার টিকিট দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেস সূত্রের খবর, প্রার্থী বাছাই নিয়ে দিল্লিতে কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির বৈঠকের সময়ে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে গহলৌতের মতান্তর হয়। সনিয়া গান্ধী ও মল্লিকার্জুন খড়্গের সামনেই সেই ঘটনা ঘটে। রাহুল গহলৌতের প্রতি উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন। তার জেরেই তিনি রাজস্থানে প্রচারে যাচ্ছেন না। তবে প্রচারে গিয়েছিলেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা।
কংগ্রেসের সাংগঠনিক সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল পরিস্থিতি সামলাতে আজ মাঠে নেমেছেন। তাঁর দাবি, সবটাই বিজেপির অপপ্রচার। বেণুগোপালের যুক্তি, ১৬ নভেম্বর থেকে রাহুল গান্ধী রাজস্থানে চার দিন প্রচার করবেন। খড়্গে ও প্রিয়ঙ্কাও তিন দিন করে প্রচার করবেন। রাহুল গান্ধী ভারত জোড়ো যাত্রার সময় ১৮ দিন রাজস্থানে কাটিয়েছিলেন। বেণুগোপালের পাল্টা প্রশ্ন, নরেন্দ্র মোদী মিজ়োরামে এক দিনের জন্যও ভোটের প্রচারে যাওয়ার সাহস পাননি। তা নিয়ে কেউ কেন কোনও প্রশ্ন তুলছেন না?