রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হিন্দুস্তান এরোনেটিক্স লিমিটেড-কে (হ্যাল) বাদ দিয়ে অনিল অম্বানীর সংস্থাকে রাফালের বরাত দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন রাহুল গাঁধী। সেই হ্যাল-এর কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে শনিবার বেঙ্গালুরু যাচ্ছেন তিনি।
রাহুলের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রীর ‘বন্ধু শিল্পপতি’ অনিল অম্বানীর সংস্থার বদলে হ্যালকে এ বরাত দিলে আরও রোজগার তৈরি হত। প্রধানমন্ত্রী সে সুযোগ ছিনিয়ে নিয়েছেন। ফ্রান্সের একটি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর জানাচ্ছে, রাফাল প্রস্তুতকারক ফরাসি সংস্থা দাসো-র নথি অনুযায়ী অনিল অম্বানীর সংস্থাকে বরাত দেওয়ার বিষয়টি বাধ্যতামূলক ছিল। এর পরেই কংগ্রেসের রাফাল কমিটির প্রধান জয়পাল রেড্ডির মন্তব্য, ‘‘গোটা রাফাল দুর্নীতিতে হ্যাল-এরই সবথেকে বড় লোকসান হয়েছে। কর্মীরা রোজগার হারাচ্ছেন। ইউপিএ-র সময়ের চুক্তি মেনে চললে কর্মীদের সুরাহা হত।’’ কংগ্রেস নেতা আহমেদ পটেল এ দিন হ্যাল-এর কর্মীদের সঙ্কট নিয়ে সরব হন। বলেন, ‘‘হ্যাল-এর এখন তিন মাসের বেতন দেওয়ার মতো পরিস্থিতি রয়েছে। এটাই হল মোদীর গুজরাত মডেল।’’
এর আগে হ্যাল-এর প্রধানের পদ থেকে সদ্য অবসর নেওয়া সুবর্ণ রাজুও দাবি করেছিলেন, হ্যাল রাফাল বানাতে সক্ষম ছিল। কিন্তু প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন সম্প্রতি যুক্তি দিয়েছেন, হ্যাল এই যুদ্ধবিমান বানাতে অনেক বেশি সময় নিত। সে কারণেই ইউপিএ আমলে তাদের সঙ্গে চুক্তি চূড়ান্ত হতে পারেনি।
এরই মধ্যে কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে আজ সিএজি-র একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে জানান, পরিস্থিতি এলে রাফাল, নোটবাতিল ও জিএসটি নিয়ে সরকারকে দায়ী করতে সাংবিধানিক সংস্থাটি যেন পিছিয়ে না আসে। এর আগেও দু’দফায় গিয়ে কংগ্রেস নেতারা সিএজির উপরে চাপ বাড়িয়েছেন। ওই অনুষ্ঠানে সিএজি রাজীব মেহর্ষি বলেন, ‘‘সরকারের সব আর্থিক লেনদেন যদি তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর হয়, তা হলে ১০০ শতাংশ ক্ষেত্রে অডিট করা সম্ভব।’’