রাজ্যসভা: মমতা-রাহুল কথা

রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান পদের ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহায্য চাইলেন রাহুল গাঁধী। জুলাই মাসের এই লড়াইয়ে বিরোধীদের রণনীতি ঠিক করতে দু’জনের কথা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০১৮ ০৪:৫২
Share:

রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান পদের ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহায্য চাইলেন রাহুল গাঁধী। জুলাই মাসের এই লড়াইয়ে বিরোধীদের রণনীতি ঠিক করতে দু’জনের কথা হয়েছে।

Advertisement

রাজ্যসভায় ডেপুটি চেয়ারম্যান ঠিক করতে ভোট হবে সংসদের বাদল অধিবেশনে। হিসেব অনুযায়ী, জেতার জন্য প্রার্থীকে পেতে হবে ১২২টি ভোট। বিজেপির আসন সংখ্যা ৬৯। রাজ্যসভায় এনডিএ জোটের সাংসদের সংখ্যা ছিল ১১৫। চন্দ্রবাবু নায়ডুর দল এনডিএ ছাড়ায় শাসক জোটের ৬ জন সাংসদ কমে গিয়েছে। চাপের মুখে এখন সর্বসম্মত প্রার্থীর প্রস্তাব দিচ্ছে বিজেপি। পাশাপাশি বন্ধু জোগাড় করে শক্তি বাড়ানোর চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছে নরেন্দ্র মোদী শিবির। এডিএমকের ১৩, টিআরএস-এর ৬ এবং জগন্মোহন রেড্ডির দলের ২ জন সাংসদকে কাছে টানার চেষ্টা চালাচ্ছে এনডিএ। বিজেডি, মমতাকেও সঙ্গে পেতে মরিয়া বিজেপি।

এই পরিস্থিতিতেই মমতার সঙ্গে কথা বলেছেন রাহুল। মমতা কংগ্রেস সভাপতিকে পরামর্শ দেন, কাউকে যদি বিরোধী শিবিরের সর্বসম্মত প্রার্থী করা যায়, সেটা রাজনৈতিক ভাবে সঠিক পদক্ষেপ হবে। গণতন্ত্রের জন্যও এটা শুভ লক্ষণ। কারণ, বিজেপি নেতা বেঙ্কাইয়া নায়ডু রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হয়েছেন। ডেপুটি চেয়ারম্যানের পদটি বিরোধীদের কাছে রাখার চেষ্টা করা দরকার। এ নিয়ে কংগ্রেসের অভিষেক সিঙ্ঘভি ও গুলাম নবি আজাদ সরাসরি মমতার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।

Advertisement

বিরোধীদের প্রার্থী কে হতে পারেন, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে কথাবার্তা চলছে। কংগ্রেস নেতা পি জে কুরিয়েনকে আরও এক বার ওই পদে চেয়েছিলেন এআইসিসির নেতারা। কিন্তু কেরল কংগ্রেসের নেতারা কুরিয়েনকে এ বার রাজ্যসভার সদস্য করতেই রাজি নন। এ অবস্থায় কংগ্রেসের তরফে কার নাম ভাবা হবে, তা স্পষ্ট নয়। আবার রাজ্যসভার এই ভোট নিয়ে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক চুপচাপ রয়েছেন। রাজ্যসভায় বিজেডির ৯ জন সাংসদ। বিজেডি সূত্র বলছে, শেষবেলায় তারা শ্যামাচরণ দাসকে প্রার্থী করে সবার সমর্থন চাইতে পারে। তেমন হলে তৃণমূলও শেষ মুহূর্তে সুখেন্দুশেখর রায়কে প্রার্থী করে দিতে পারে। তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ ১৩ জন। ঋতব্রত বন্দোপাধ্যায়কে ধরলে ১৪ জন। বিরোধী শিবিরে তাঁদের মতামত গুরুত্ব পাবে।

রাজ্যসভার এই ভোটে মোদী-বিরোধী ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন রাহুল। কোন দল কোন দিকে থাকে, ভোট তারও পরীক্ষা হয়ে যাবে। এ বিষয়ে মমতার সঙ্গে আরও আলোচনা করতে আগ্রহী রাহুল। মমতা অন্য বিরোধী নেতাদের সঙ্গেও কথা বলবেন। তবে তাঁর প্রার্থী কে, সেই তাসটি মমতা আপাতত গোপনই রেখেছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement