শুভ জন্মদিন: বোনের সঙ্গে শৈশবের ছবি পোস্ট রাহুলের।
মামার বাড়ি থেকে ফিরেই সোজা মাদুরাই!
ইটালি থেকে দেশে ফিরে প্রথমে তামিলনাড়ু যাচ্ছেন রাহুল গাঁধী। এপ্রিল-মে মাসে পশ্চিমবঙ্গ, কেরলের মতো বিধানসভা ভোট ওই দক্ষিণী রাজ্যেও। তাই এই সফরকে কংগ্রেসের তরফে অরাজনৈতিক বলা হলেও, অনেকের চোখে তা তাৎপর্যপূর্ণ।
গত বছরের শেষে ইটালিতে দিদার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন রাহুল। ফেরার পরে কংগ্রেস নেতারা জানান, ১৪ জানুয়ারি রাহুল মাদুরাই যাবেন। সেখানে দেখবেন ষাঁড়কে হার মানানোর বিতর্কিত খেলা জাল্লিকাট্টু। তামিলনাড়ুর কংগ্রেস সভাপতি কে এস আলাগিরির দাবি, এই সফরে রাহুল কোনও ভোট-প্রচার করবেন না। কিন্তু একই সঙ্গে ভোটব্যাঙ্কের কথা মাথায় রেখে আলাগিরির যুক্তি, জাল্লিকাট্টুর ষাঁড় কৃষকদের প্রতীক, তাঁদের জীবনের অঙ্গ। পোঙ্গলের দিনে রাহুলের সফর আসলে কৃষকদের সম্মান জানানো। রাহুলের এই সফরকে ‘রাহুলিন তামিঝ ভনাক্কম’ বা ‘রাহুলকে তামিল স্বাগতম’ বলেও আখ্যা দিচ্ছেন কংগ্রেস নেতারা।
রাহুল এ বিষয়ে মুখ খোলেননি। বোন প্রিয়ঙ্কার জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। কিন্তু তাঁর প্রস্তাবিত তামিলনাড়ু সফরে জাল্লিকাট্টু নিয়ে কংগ্রেসের অবস্থান ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে।
২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্ট জাল্লিকাট্টুতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। কিন্তু তামিলনাড়ু সরকার তাকে তামিল সংস্কৃতির অঙ্গ বলে সওয়াল করার পরে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটের আগে কংগ্রেসও নির্বাচনী ইস্তাহারে ক্ষমতায় এলে জাল্লিকাট্টু নিষিদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু পরে অবস্থান বদল করে তারা। এ বছর কোভিডের কথা মাথায় রেখে বিধিনিষেধ মেনে জাল্লিকাট্টু আয়োজিত হচ্ছে। বিধানসভা ভোটে ডিএমকে-র সঙ্গে জোট বাঁধছে কংগ্রেস। দলের নেতাদের যুক্তি, রাহুলের মাদুরাই সফর ও জাল্লিকাট্টুর সাক্ষী হওয়া আসলে তামিল সংস্কৃতিকে সম্মান জানানো।