ছবি: পিটিআই।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন তথা ‘সিএএ’-বিরোধী আন্দোলনে সমর্থন জানাতে আগামিকাল গুয়াহাটি আসছেন রাহুল গাঁধী। জনসভা করবেন খানাপাড়ায়। কিন্তু অসমের জনগণের স্বতস্ফূর্ত আন্দোলনকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ‘হাইজ্যাক’ করা চলবে না বলে আগাম বার্তা দিল আসু, এজেওয়াইসিপি-সহ বিভিন্ন সংগঠন। তাদের মতে, জনতার আন্দোলন চলছে। এর মধ্যে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুলের গুয়াহাটি সফর ও জনসভা মানুষকে বিভ্রান্ত করতে পারে। তাতে বিজেপিরই সুবিধে হবে।
এজেওয়াইসিপির সভাপতি পলাশ চাংমাই বলেন, ‘‘অসমবাসী নিজের আবেগ থেকে সংগ্রামে নেমেছেন। তাঁরা রাজনীতি চান না। কংগ্রেস বা রাহুল সেই আবেগকে ভোট-রাজনীতির স্বার্থে ব্যবহার করতে চাইলে, তা মানা হবে না।’’
আরও পড়ুন: মাদল বাজিয়ে আদিবাসীদের সঙ্গে মঞ্চে নাচলেন রাহুল
আর এক ধাপ এগিয়ে আসু সভাপতি সমুজ্জ্বল ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘অসম আন্দোলনের সময় কী হয়েছিল, কেমন দমননীতি নেওয়া হয়েছিল সকলেই জানে। অসম চুক্তির পরে ৩৪ বছর ধরে কেন্দ্র ওরাজ্যে ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস। কিন্তু তারা কিছুই করেনি। বিদেশি সমস্যা সমাধানে কারও সদিচ্ছা নেই। সকলে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে ব্যস্ত।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বিজেপি যেমন হিন্দু বাংলাদেশিদের স্থান দিতে ‘সিএএ’ এনেছে, কংগ্রেসও তেমন বাংলাদেশিদের আশ্রয় দিতে ‘আইএমডিটি’ এনেছিল। এমনকি ২০১৪ সাল পর্যন্ত আসা সকলকে নাগরিকত্ব দেওয়া উচিত বলে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামাও দিয়েছিল।’’
আন্দোলনকারী নেতাদের মতে, বিজেপি বারবার বলছে এই আন্দোলন কংগ্রেস পরিচালিত। এই পরিস্থিতিতে রাহুল এসে যদি আন্দোলনে জোর করে শরিক হতে চান— তা হলে বিজেপির উদ্দেশ্যই সিদ্ধ হবে। পরেশ বরুয়াও এ দিন ছাত্রসমাজ ও আন্দোলনকারীদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে চলা নেতাদের থেকে সাবধান করেন। প্রফুল্ল মহন্তের তীব্র সমালোচনা করেন তিনি।
কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক হরিশ রাওয়াত যদিও বলেছেন, রাহুল আসছেন আন্দোলনের পাশে থাকার বার্তা দিতে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রিপুন বরার দাবি, রাহুল শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আসছেন। অন্য উদ্দেশ্য নেই। কংগ্রেস ও অসমের ভালর জন্য তিনি যা করার করবেন।
মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালের বক্তব্য, ‘‘বিজেপি কখনও অসমিয়দের বিপক্ষে যেতে পারে না। আমিও আন্দোলনের মধ্যে থেকেই উঠে এসেছি। আন্দোলনকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু তা যেন হিংস্র না হয়ে ওঠে।’’