রাহুল গাঁধী। —ফাইল চিত্র
বেকারি পরিস্থিতি নিয়ে দেশ জুড়ে বিকল্প আন্দোলনে নামছেন রাহুল গাঁধী।
কংগ্রেসের সূত্রের মতে, দেশের যুবকদের সঙ্গে নিয়ে সংগঠনকে শক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি। মঙ্গলবার রাহুল নিজেও জয়পুরে যাচ্ছেন যুবকদের মধ্যে একটি সম্মেলন করতে। আর যুব কংগ্রেসের নেতারা সেদিনই বেকারি, বেহাল অর্থনীতি নিয়ে জেলায় জেলায় প্রচার করবেন, সাংবাদিক সম্মেলন করবেন। আজ রাহুল টুইট করেও বলেন, ‘‘গণতন্ত্র দিবসে আসুন, সেই সব কোটি কোটি শিক্ষিত যুবাদের কথা ভাবি, যাঁরা রোজগার জোটানোর জন্য লড়াই করতে হচ্ছে। রোজগারের অভাব যদি যুবসমাজকে তার স্বপ্নপূরণ করতে না দেয়, তা হলে গণতন্ত্র মজবুত হবে কী করে?’’
রাহুলের সঙ্গে কথা বলেই সম্প্রতি যুব কংগ্রেস ‘জাতীয় বেকারপঞ্জি’ (এনআরইউ) তৈরির অভিযানে নেমেছে। বিজেপিতে অমিত শাহ যেমন নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে টোল-ফ্রি নম্বরে ফোন করতে বলছেন, কংগ্রেসও বেকারদের ফোন করতে বলছে আর একটি টোল-ফ্রি নম্বরে। মঙ্গলবার সেটি আরও নিচুতলায় পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করবে কংগ্রেস। দলের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী কাল দশ জনপথে নিজের বাসভবনে দলের বৈঠক ডেকেছেন। সংসদের অধিবেশনের আগে দলের কৌশল ঝালিয়ে নেওয়ার জন্য দলের শীর্ষ নেতাদের ডাকা হয়েছে। কংগ্রেসের এক নেতা বলেন, ‘‘অর্থনীতির যা দুরবস্থা, তাতে মোদী সরকারের পক্ষে রোজগার তৈরির দিশা দেখানো সম্ভব নয় বাজেটে। নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মোদী-অমিত শাহ শুধুমাত্র বিভাজনের রাজনীতি করছেন। অর্থনীতির মতো মৌলিক বিষয় নিয়ে কেউ কথা বলছেন না। বেকার পঞ্জি তৈরির অভিযান চলবে বাজেট অধিবেশন পর্যন্ত। তার পর মোদী সরকারকে জানিয়ে দেওয়া হবে, দেশে কত বেকার।’’
আরও পড়ুন: ইমামের নামে মামলা দিল্লি পুলিশের
কংগ্রেসের মুখপাত্র গৌরব বল্লভ বলেন, ‘‘মোদী সরকার একবার দেশে বেকারের সংখ্যার হিসেব জোগাড়ের প্রক্রিয়া শুরু করেছিল। খোদ প্রধানমন্ত্রী প্রকাশ্যেই সে ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু বাস্তব ছবিটি বুঝে পিছিয়ে এসেছেন। বেকারত্বের কোনও সংখ্যাই প্রকাশ করেনি সরকার। উল্টে যে তথ্য সামনে এসেছে, তাতে দেখা ৪৫ বছরের মধ্যে সবথেকে বেশি বেকার এখন দেশে।’’
বিজেপি অবশ্য এখনই এই বিষয় নিয়ে আলোচনার পক্ষপাতী নয়। তবে দলের এক মুখপাত্র নরেন্দ্র তানেজা বলেন, ‘‘কংগ্রেস যদি সত্যিই বেকারির হিসেব করতে চায়, তা হলে কংগ্রেস-শাসিত রাজ্যগুলিতে
সেটি করতে কে বাধা দিয়েছে?’’ বিজেপির বক্তব্য, বেকারত্বের গোটা দায়টি কংগ্রেস মোদী সরকারের ঘাড়ে ঠেলতে চায়। একবার রাজ্য সরকার যদি বেকারির হিসেব দেয়, তা হলে দায় সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের উপরেও বর্তাবে।