বেলাগাভিতে রাহুল গান্ধী। ছবি পিটিআই।
কিছু লোক নরেন্দ্র মোদী, বিজেপি, আরএসএস বা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ভয় পেয়েছে বলে মন্তব্য করলেন রাহুল গান্ধী। সোমবার নিজের লোকসভা কেন্দ্র ওয়েনাড়ে রাহুল বলেছেন, কেউ ভয় পেয়ে থাকলে সেটা তাঁদের সমস্যা। তিনি এ সবে ভয় পাচ্ছেন না।
রাহুল গান্ধীকে বিজেপি নিজেদের স্বার্থে নরেন্দ্র মোদীর বিপরীতে বিরোধী শিবিরের মুখ হিসেবে তুলে ধরতে চাইছে বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেছেন। তার পরেই কংগ্রেস নেতারা অভিযোগ তুলেছেন, তৃণমূলনেত্রী ইডি-সিবিআইয়ের ভয়ে এ সব কথা বলছেন। আজ রাহুল কার্যত একই সুরে ওয়েনাড়ে বলেন, “অনেকে নরেন্দ্র মোদী, বিজেপি, আরএসএস বা পুলিশে ভয় পেয়ে থাকতে পারেন। আমি পাই না।” রবিবারই রাহুলের বাড়িতে দিল্লি পুলিশ মহিলাদের উপর নির্যাতন নিয়ে তাঁর মন্তব্যের ব্যাখ্যা চাইতে গিয়েছিল। রাহুল বলেন, “যত বার খুশি আমার বাড়িতে পুলিশ পাঠাক, আমার বিরুদ্ধে যত মামলাই করুক, আমি ভয় পাব না।”
দেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের উপরে আঘাত আসছে, সংসদে বিরোধীদের মাইক বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে বলে লন্ডনে রাহুল গান্ধীর মন্তব্যের পরে বিজেপি তাঁর ক্ষমাপ্রার্থনা দাবি করেছে। বিজেপির অভিযোগ, রাহুল দেশের ও সংসদের অপমান করেছেন। রাহুল ওয়েনাড়ে একই অভিযোগ তুলে যুক্তি দিয়েছেন, “প্রধানমন্ত্রী, বিজেপি, আরএস মনে করে তাঁরাই ভারত। প্রধানমন্ত্রী এক জন ভারতীয় নাগরিক। যতই অহঙ্কারী হোন, তিনি ভারত নন। তাঁর সমালোচনা দেশের উপরে আঘাত হতে পারে না। উনি নিজেই গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানে হামলা করে ভারতের উপরে হামলা করেছেন।”
ওয়েনাড়ের আগে রাহুল কর্নাটকের ভোটপ্রচারে গিয়ে কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে বেকারদের জন্য দু’বছর ভাতা দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। দলের নেতাদের তিনি ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াইয়ের বার্তা দিয়েছেন। কর্নাটকের বিজেপি সরকারকে ‘সব থেকে দুর্নীতিগ্রস্ত’ আখ্যা দিয়ে রাহুল বলেন, রাজ্যে যে কোনও কাজে ৪০ শতাংশ কমিশন দিতে হয়। ঠিকাদার সংগঠন, স্কুল পরিচালন সংগঠন প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন। তিনি তার জবাবটুকুও দেননি।