কথাটা আগে বলেছেন একাধিক বার। দলের সভাপতি হওয়ার পরে পুরোদমে নবীন নেতৃত্বকে কংগ্রেসের বিভিন্ন পদে তুলে আনার কাজটি শুরু করে দিলেন রাহুল গাঁধী। তবে প্রবীণদেরও ‘যোগ্য’ দায়িত্ব দিচ্ছেন রাহুল।
দলের সদ্যসমাপ্ত পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনেই রাহুল বলেছিলেন, প্রবীণদের সসম্মানে বুঝিয়ে দলের বিভিন্ন ক্ষেত্রের দায়িত্ব নবীন প্রজন্মের হাতে তুলে দেওয়া হবে। আজ সেই সূত্র ধরে ওডিশায় বি কে হরিপ্রসাদকে সরিয়ে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহকে দায়িত্বে আনা হল। বদল হল কংগ্রেস সেবাদলেও। আবার গুজরাতে অশোক গহলৌতকে সরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হল তরুণ প্রজন্মের নেতা রাজীব সাতভকে। এর ফলে গুজরাতে প্রদেশ সভাপতি, পরিষদীয় দলের নেতা থেকে এআইসিসি-র দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা— সকলেই হলেন ৪৫ বছরের কম বয়সি। অশোক গহলৌতকে অবশ্য অন্য দায়িত্ব দিয়েছেন রাহুল। তাঁকে এআইসিসি-র সংগঠন ও প্রশিক্ষণের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। আগে এই কাজটি করতেন সনিয়া গাঁধীর ঘনিষ্ঠ জনার্দন দ্বিবেদী।
মজার বিষয় হল, অশোক গহলৌতকে জায়গা দিতে দেড় দশক পরে নিজের পদ থেকে সরে যাওয়ার চিঠিতে শেষ সইটি করলেন জনার্দন নিজেই! আর অশোক গহলৌতকে এআইসিসি-র সংগঠনের দায়িত্বে আনার পরে রাজস্থানে তাঁর প্রতিপক্ষ বলে পরিচিত, নবীন নেতা সচিন পায়লটের উত্থানের পথ আরও প্রশস্ত হল। এ বছরের শেষে রাজস্থানের বিধানসভা নির্বাচনে মুখ হবেন সচিন পায়লটই। কংগ্রেসের এক নেতার কথায়, ‘‘যে নেতাদের আজ রাহুল ‘ধন্যবাদ’ বলে বিদায় দিলেন, তাঁরা নতুন ওয়ার্কিং কমিটিতে জায়গা পেতে পারেন। রাজ্যে রাজ্যে কর্মঠ ও নবীন নেতারাই গুরুত্ব পেলেন। বাস্তবে সকলেরই ‘গুড ফ্রাইডে’ হল।’’
দলের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনেই নতুন ওয়ার্কিং কমিটি গঠনের রেওয়াজ। কিন্তু সেই সম্মেলনে রাহুলের উপরেই নতুন কমিটি গঠনের ভার ছেড়ে দেওয়া হয়। তার পরে দু’সপ্তাহ কেটে গেলেও রাহুল এখনও কাজটি করেননি। দলের নেতারা বলছেন, একবারে না এগিয়ে ধাপে ধাপে কাজটি করছেন কংগ্রেস সভাপতি। পুরো কমিটির রূপরেখা তাঁর মাথায় রয়েছে। একাধিক প্রদেশ সভাপতি বদল করেছেন। এআইসিসি-তেও বদল করছেন। এপ্রিলের মাঝামাঝি নতুন ওয়ার্কিং কমিটি হয়ে যাবে।