রাহুল গাঁধী।— ফাইল চিত্র
হাথরস কাণ্ড নিয়ে যোগী আদিত্যনাথের সরকারকে আক্রমণের কোনও সুযোগ হাতছাড়া করছেন না রাহুল গাঁধী। ওই ঘটনায় যোগীর রাজ্যের পুলিশ ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগ ধামাচাপা দিতে চাইছে বলে এ বার টুইটে অভিযোগ করেছেন রাহুল। সেই সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন দলিত, মুসলিম এবং উপজাতি ভুক্ত মানুষদের প্রসঙ্গও।
রবিবার রাহুল টুইট করেন। ‘লজ্জাজনক বাস্তবটা হল ভারতীয়দের একাংশ দলিত, মুসলিম এবং জনজাতিদের মানুষ বলেই মনে করে না। মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর পুলিশ বলছে, কাউকে ধর্ষণ করা হয়নি এবং অনেক ভারতীয়ও তাই বলছেন। সত্যিই মেয়েটি কেউ ছিল না।’ নিজের টুইটের সঙ্গে বিবিসি-র একটি রিপোর্টও জুড়ে দিয়েছেন তিনি। ওই প্রতিবেদনের শিরোনাম, ‘হাথরস কাণ্ড: এক মহিলা বারবার ধর্ষণের অভিযোগ করেছিলেন, পুলিশ কেন তা নাকচ করছে?’
অভিযোগ, গত ১৪ সেপ্টেম্বর হাথরসের বুলগড়হী গ্রামের বছর কুড়ির এক তরুণীকে গণধর্ষণ করে চার জন। তার পর তার জিভ কেটে দেওয়া হয়। মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। পরে দিল্লির সফদর জঙ্গ হাসপাতালে ওই তরুণীর মৃত্যু হয়। এই নির্মম ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই দেশ জুড়ে শোরগোল পড়ে যায়, ঠিক যেমনটা দেখা গিয়েছিল ২০১২ সালে দিল্লির নির্ভয়া কাণ্ডের সময়।
আরও পড়ুন: ২০০ মৃতদেহ বয়ে করোনাতেই থামল আরিফের অ্যাম্বুল্যান্স
আরও পড়ুন: সরকার ফেলার চেষ্টা করছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, বেনজির অভিযোগ জগনমোহনের
এর মাঝে ওই তরুণীর দেহ তাঁর পরিবারের হাতে তুলে না দিয়ে, তাঁদের অনুমতি ছাড়াই রাতের অন্ধকারে দাহ করে দেয় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। সেই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে যোগী প্রশাসন। বুলগড়হী গ্রামে গিয়ে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেন রাহুল এবং প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। কিন্তু তাঁকে সেখানে যেতে বাধা দেয় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। প্রথম চেষ্টা ব্যর্থ হলেও, পরে অবশ্য ওই গ্রামে যান তাঁরা। নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গেও দেখা করেন।