Rahul Gandhi

কর্নাটকে মোদীকে ফের রাহুলের আদানি-খোঁচা

আগামী ১০ মে কর্নাটকে বিধানসভা নির্বাচন। রাহুল গোড়া থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, যে হেতু কোলার এলাকায় করা মন্তব্যের কারণে তাঁর সাংসদ পদ গিয়েছে, তাই ওই এলাকা থেকেই কর্নাটকের প্রচার শুরু করবেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৩ ০৭:২৪
Share:

রাহুল গান্ধী। ছবি: পিটিআই।

কর্নাটকের কোলারে এক জনসভায় ‘চোরেদের মোদী পদবি’ নিয়ে মন্তব্যের জেরে সাংসদ পদ খুইয়েছেন রাহুল গান্ধী। আজ সেই কোলার থেকেই কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু করলেন রাহুল। ফের প্রশ্ন তুললেন মোদী-আদানি সম্পর্ক নিয়ে। নির্বাচনে জিতলে গরিবদের সাহায্য করার প্রশ্নে নানাবিধ জনমুখী প্রকল্পের ঘোষণা করে জানালেন, মোদী যদি আদানিদের সাহায্য করতে পারেন, তা হলে কংগ্রেস রাজ্যের গরিব মানুষকে অর্থ দিয়ে সাহায্য করলে সমস্যা কোথায়!

Advertisement

আগামী ১০ মে কর্নাটকে বিধানসভা নির্বাচন। রাহুল গোড়া থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, যে হেতু কোলার এলাকায় করা মন্তব্যের কারণে তাঁর সাংসদ পদ গিয়েছে, তাই ওই এলাকা থেকেই কর্নাটকের প্রচার শুরু করবেন তিনি। আজ গোড়া থেকেই আদানি ও নরেন্দ্র মোদীর সুসম্পর্ক নিয়ে সরব হন রাহুল। পাশাপাশি প্রচারের মঞ্চ থেকে মূলত চারটি জনমুখী পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন তিনি। পরিবার পিছু বিনামূল্যে দু’শো ইউনিট বিদ্যুৎ, পরিবারপিছু মহিলাদের মাসিক দু’হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য, প্রতি মাসে প্রতি পরিবারকে ১০ কিলোগ্রাম চাল এবং রাজ্যের স্নাতক ও ডিপ্লোমা পাশ বেকারদের দু’বছর ধরে বেকার ভাতার প্রতিশ্রুতি দেন রাহুল। বিরোধী বিজেপি একে পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতি বললেও রাহুলের পাল্টা যুক্তি, সরকার যদি আদানিদের বিপুল অর্থ জুগিয়ে সাহায্য করতে পারে, তা হলে কংগ্রেস কেন গরিবদের পাশে দাঁড়াবে না! একই সঙ্গে রাজ্যের বর্তমান বিজেপি সরকারকে ৪০ শতাংশ কমিশনের দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার বলেও আক্রমণ শানান রাহুল। তিনি বলেন, এই সরকারের কমিশন খাওয়া নিয়ে ঠিকাদারদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখা হয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সেই চিঠির কোনও জবাব না দিয়ে দুর্নীতিগ্রস্তদেরই হাত শক্ত করেছেন।’’

পাশাপাশি বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়ে কর্নাটকেও জাতিভিত্তিক জনগণনার দাবি তুলে রাহুল বলেন, ‘‘যদি সরকার সত্যিই ওবিসি সমাজের উন্নতি চায়, তা হলে দেশের জনগোষ্ঠীতে ওবিসিদের কত শতাংশ উপস্থিতি রয়েছে, সেই তথ্য প্রকাশ করুক।’’ রাহুল জানেন, জাতিভিত্তিক ওই জনগণনা সামনে এলে সংরক্ষণের বর্তমান চিত্রটি পাল্টে যেতে বাধ্য। নতুন করে সংরক্ষণের জন্য দাবি তুলবে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী। লোকসভার আগে ওই প্যান্ডোরা বাক্স খুলে গেলে তা রীতিমতো অস্বস্তির কারণ হবে বিজেপির জন্য। তাই পরিকল্পিত ভাবেই আজ বিষয়টি উস্কে দিয়ে সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলার কৌশল নেন রাহুল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement