আর কয়েক দিন পরেই উপনির্বাচন। প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরার নির্বাচনী প্রচারে সঙ্গী দাদা রাহুল গান্ধী। রবিবার কেরলের ওয়েনাড়ে। ছবি: পিটিআই।
নরেন্দ্র মোদী সকলের কাছেই ‘বিরক্তিকর’ হয়ে উঠেছেন বলে কটাক্ষ করলেন রাহুল গান্ধী। ভাইফোঁটার দিনে রাহুল গান্ধী বোন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরার হয়ে ওয়েনাড়ে প্রচারে গিয়েছিলেন। সেখানে প্রিয়ঙ্কাকে চেনাতেই বেশি শব্দ ব্যয় করেছেন রাহুল। সেখানে নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে গুটিকয় ধনী শিল্পপতির হয়ে কাজ করার অভিযোগ তুলেছেন প্রিয়ঙ্কা। কিন্তু রাহুল গান্ধী মোদীর প্রসঙ্গে বলেছেন, “প্রিয়ঙ্কা ইতিমধ্যেই মোদীর কথা উল্লেখ করেছেন। আমরা সবাই ওঁর উপরে বিরক্ত হয়ে উঠেছি। তা হলে আর দু’বার ওঁর কথা বলে
কী লাভ?”
ওয়েনাড় থেকে এই প্রথম নির্বাচনী রাজনীতিতে নেমেছেন প্রিয়ঙ্কা। রাহুল গান্ধী রায়বরেলী ও ওয়েনাড়, দুই আসন থেকেই জেতার পরে ওয়েনাড়ের সাংসদ হিসেবে ইস্তফা দিয়েছেন। প্রিয়ঙ্কা প্রার্থী হয়েছেন কেরলের আসনে। রাহুল এর আগে প্রিয়ঙ্কার মনোনয়ন জমার সময় ওয়েনাড়ে গিয়েছিলেন। আজ প্রথম বার প্রচারে গিয়েছেন। ওয়েনাড় নিয়ে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের বাড়তি উৎসাহ দেখে দলের একাংশের প্রশ্ন, প্রিয়ঙ্কার ওয়েনাড়ে জয় নিশ্চিত। লক্ষ্য শুধু ব্যবধান বাড়ানো। সেই ওয়েনাড়ে নজর দিতে গিয়ে কংগ্রেস নেতৃত্ব মহারাষ্ট্র-ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা ভোটকে কম গুরুত্ত্ব দিয়ে ফেলছেন না তো?
রাহুল আজ ওয়েনাড়ে প্রচারে বলেছেন, তিনি রাজনৈতিক বক্তৃতার বদলে কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে প্রিয়ঙ্কাকে চেনাতেই বেশি আগ্রহী। রাহুল বলেন, প্রিয়ঙ্কা বরাবর বাবা রাজীব গান্ধী, মা সনিয়া গান্ধী ও তাঁর জন্য প্রচার করে গিয়েছেন। নিজে কখনও ভোটে প্রার্থী হননি। এ থেকে তাঁর চরিত্র বোঝা যায়। ছোটবেলার স্মৃতি থেকে রাহুল বলেছেন, বাবার কিনে দেওয়া ক্যামেরায় কে ভাল ছবি তুলতে পারে, তাই নিয়ে তাঁর সঙ্গে বোনের প্রতিযোগিতা চলত। কে সেই প্রতিযোগিতায় জিতেছিল, এখন আর মনে নেই। তবে প্রিয়ঙ্কা এখন দাবি করেন, রাহুলই জিতেছিলেন। কিন্তু প্রিয়ঙ্কা ছবি তোলা বন্ধ করেনি। এখন প্রিয়ঙ্কা খুবই ভাল ফোটোগ্রাফার। ছবি তুলতে গেলে বিষয়কে বুঝতে হয়, তেমন ভাবে প্রিয়ঙ্কা মানুষকে বোঝার চেষ্টা করে। যেমন কোনও কৃষকের সঙ্গে কথা বললেও প্রিয়ঙ্কা তাঁর বাবা, দাদা হিসেবে সমস্যা বোঝার চেষ্টা করেন। রাহুল বলেন, “আমি এমন বোন পেয়ে ভাগ্যবান। এ বার আপনারাও এমন বোন পেয়ে ভাগ্যবান বোধ করবেন। প্রিয়ঙ্কা আমার থেকেও অনেক কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে।”