(বাঁ দিকে) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। —ফাইল চিত্র।
জি২০ কড়া নাড়ছে দিল্লিতে। তার আগে চিনের সঙ্গে পরিস্থিতি ক্রমশ ঘোরালো হচ্ছে বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল। গত কাল চিন অরুণাচল প্রদেশকে তাদের মানচিত্রের অন্তর্ভুক্ত করার পরেই বাগ্যুদ্ধ শুরু হয়েছিল। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বিষয়টিকে বর্ণনা করেছিলেন চিনের ‘আজগুবি দাবি’ বলে। আজ পাল্টা চিনের বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, ‘২০২৩-এ চিনের স্ট্যান্ডার্ড ম্যাপের প্রকাশ দেশের সার্বভৌমত্ব সংক্রান্ত স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এটি আমাদের দেশের আইন অনুসারেই করা হয়েছে।"
অন্য দিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ফের এক বার তাঁর দাবি, লাদাখের একাধিক ভূখণ্ড দখল করে রেখেছে চিন। এই নিয়ে টুঁ শব্দটিও করছেন না প্রধানমন্ত্রী। বুধবার দিল্লি থেকে কর্নাটক রওনা হওয়ার পথে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রাহুল বলেন, “লাদাখে এক ইঞ্চি জমিও চিন দখল করতে পারেনি বলে প্রধানমন্ত্রী যা বলে চলেছেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি তো অনেক বছর ধরেই এ কথা বলে আসছি। এই মানচিত্রের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” সম্প্রতি মোটরবাইকে লাদাখ সফর করেছেন রাহুল। সে সময়ে আকসাই চিন এলাকাতেও যান এই কংগ্রেস নেতা। তিনি এ দিন ফের এক বার চিনা দখলদারি প্রসঙ্গে সুর চড়িয়ে বলেন, “গোটা লাদাখ জানে চিন সীমান্ত লঙ্ঘন করেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এ বার অন্তত এই নিয়ে মুখ খোলা উচিত।”
প্রসঙ্গত, নতুন যে মানচিত্রটি প্রকাশ করেছে চিন, তাতে অরুণাচলের পাশাপাশি রয়েছে আকসাই চিন, তাইওয়ান এবং দক্ষিণ চিন সাগর। ওই মানচিত্রটি প্রকাশ্যে এনেছে চিনা সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবাল টাইমস’। চিন বরাবরই অরুণাচলকে দক্ষিণ তিব্বত বলে দাবি করে। ১৯৬২ সালের যুদ্ধে আকসাই চিন তারা দখল করেছে বলে দাবি করে বেজিং। গত কাল বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছিলেন, “যে সব ভূখণ্ড তাদের নয়, সেগুলিকে মানচিত্রে নিজেদের বলে দেখানো চিনের পুরনো অভ্যাস। ভারতের অংশ নিজেদের মানচিত্রে বসিয়ে নেওয়ায় কিছু বদলায় না। আমাদের ভৌগোলিক সীমা সম্পর্কে সরকারের খুব স্পষ্ট ধারণা রয়েছে। আজগুবি দাবি করলেই অন্যের ভূখণ্ড নিজেদের হয়ে যায় না।”