ছবি: পিটিআই।
এখনও দেশে ফেরেননি। তাই আজ কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর ডাকা ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে হাজির থাকতে পারলেন না রাহুল গাঁধী। তার মধ্যেই এ দিন দলীয় নেতাদের একাংশ বুঝিয়ে দিলেন, কংগ্রেস সভাপতি পদে রাহুলের ফিরে আসার জমি ক্রমশ তৈরি হচ্ছে।
গত বছরের শেষে রাহুল বিদেশে পাড়ি দিয়েছেন বলে কংগ্রেস সূত্রে আগেই জানা গিয়েছিল। কিন্তু যত বারই কংগ্রেসের নেতাদের রাহুলের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে, তাঁরা বলেছেন ‘রাহুল দিল্লিতে আছেন’। কিন্তু আজ সেই নেতারাই কিছুটা বাধ্য হয়ে স্বীকার করলেন, রাহুল এখন বিদেশে। কারণ, আজকের দিনে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক হওয়ার কথা এক সপ্তাহ আগেই ঘোষণা করেছিলেন সনিয়া গাঁধী। ফলে রাহুল পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুন না কেন, খুব বড় সমস্যা না হলে আজ চলে আসতেই পারতেন। আজ সকালের মধ্যে তাঁর দিল্লি ফেরার সম্ভাবনার কথা জানাচ্ছিলেন দলের কেউ কেউ। রাহুল যাতে বৈঠকে থাকতে পারেন, তার জন্যই ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছিল বেলা সাড়ে তিনটেয়। কিন্তু সনিয়া গাঁধী, প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা-সহ শীর্ষ নেতারা এলেও রাহুল শেষ অবধি এলেন না।
স্বাভাবিক ভাবেই বৈঠকের পরে সাংবাদিক বৈঠকে এ নিয়ে চেপে ধরা হয় কংগ্রেস নেতাদের। প্রশ্ন করা হয়, রাহুল কোথায়? প্রথমে আনন্দ শর্মা উত্তর এড়িয়ে বলেন, ‘‘বেশির ভাগ নেতাই আজ উপস্থিত ছিলেন।’’ কিন্তু রাহুল-ঘনিষ্ঠ নেতা রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা বলেন, ‘‘কংগ্রেস ‘সভাপতি’ রাহুল গাঁধী এখন সফর করছেন। তিনি দেশের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। আগামিকাল সকাল থেকে তিনি কর্মী ও দলের কাজের জন্য হাজির থাকবেন।’’ রাহুলকে ‘প্রাক্তন’ না-বলে ‘কংগ্রেস সভাপতি’ বলাটা হয়তো রণদীপের মুখ ফস্কে বেরিয়ে গিয়েছে। যদিও পরে নেতাদের এই নিয়ে প্রশ্ন করলে তাঁরা বলেন, ‘‘আজ নয় তো কাল রাহুল গাঁধী তো ফের সভাপতি হচ্ছেনই। আর এই সিদ্ধান্ত তো খুব দ্রুতই হবে।’’
আরও পড়ুন: হামলায় হতাশা বাড়বে: সুব্রহ্মণ্যন
কিন্তু ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক এড়িয়ে রাহুল কি নেতিবাচক বার্তা দিলেন না? দলের এক নেতার বক্তব্য, আসলে সনিয়া ও রাহুল দু’জনেই ছিলেন আমেরিকায়। সনিয়া ফিরে এসেছেন। রাহুল এক দিন পরে ফিরছেন। নিরাপত্তার কারণেই গাঁধী পরিবারের সদস্যেরা কখনও এক সঙ্গে সফর করেন না। সোমবার বিরোধী দলের বৈঠকে অবশ্য হাজির থাকবেন রাহুল গাঁধী।