সোমনাথ মন্দিরে পুজো দিচ্ছেন রাহুল। ছবি: পিটিআই।
ঘন ঘন গুজরাত সফর। আর যত বার সফর, ঠিক তত বারই মন্দির দর্শন। এ হেন মন্দির দর্শন করতে গিয়েই এ বার বিতর্কে জড়ালেন কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধী। তাঁর ধর্মীয় পরিচয় নিয়েই প্রশ্ন উঠে গেল।
দু’দিনের সৌরাষ্ট্র সফরে বেরিয়েছেন রাহুল। প্রচারের ফাঁকেই বুধবার গুজরাতের বিখ্যাত সোমনাথ মন্দিরে পুজো দিতে যান তিনি। সূত্রের খবর, মন্দিরে দর্শনার্থীদের জন্য নির্দিষ্ট তালিকায় ‘অ-হিন্দু’ বলে নিজের নাম লিখিয়েছেন তিনি। বিতর্কের শুরু সেখান থেকেই।
আরও পড়ুন:
ভারত সীমান্তে খতম তিন বাংলাদেশি জঙ্গি, সতর্কতা এ পারেও
সত্যিটা হল, আমি এখনও ‘মুক্ত’ নই, বলছেন হাদিয়া
সোমনাথ মন্দিরে প্রবেশের ক্ষেত্রে ভিজিটর রেজিস্টারে নাম লেখাতে হয় অ-হিন্দু দর্শনার্থীদের। হিন্দুদের জন্য তেমন কোনও নিয়ম নেই। ওই রেজিস্টারেই রাহুলের হয়ে নাম লিখিয়েছেন কংগ্রেসের মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর মনোজ ত্যাগী। ঘটনার পরেই কার্যত আক্রমণে নেমেছে বিরোধী শিবির। যদিও তড়িঘড়ি রাহুলের পাশে দাঁড়িয়ে সাফাই দিয়েছে দল। ভিজিটর বুকে রাহুলের নাম লেখা পাতার স্ক্রিনশট নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, এমন কোনও ঘটনাই ঘটেনি। রাহুলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্যই অহেতুক হইচই করা হচ্ছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নেমেছেন কংগ্রেসের নেতারাও। বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে কংগ্রেস নেতা দীপেন্দ্র হুডা বলেছেন, ‘‘সবাই জানে রাহুল একজন শিবভক্ত। এই ভাবে বিজেপি মূল বিষয় থেকে সকলের নজর ফেরাতে চাইছে।’’ আওয়াজ তুলেছেন কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালাও। তাঁর কথায়, ‘‘গোটা বিষয়টিই ভুয়ো। ত্যাগীকে প্রথমে সাদা কাগজে সই করানো হয়। পরে সেখানে রাহুলের নাম বসানো হয়েছে।’’
এ দিকে সোমনাথ মন্দির বিতর্কে রাহুলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপিও। ভোটমুখী গুজরাতে রাহুলের মন্দির ভ্রমণ নিয়ে আগেও বিতর্ক হয়েছে। এ দিনের ঘটনার পর রাহুলকে কটাক্ষ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, ‘‘সর্দার পটেল না থাকলে সোমনাথ মন্দির তৈরিই হত না। আজ অনেকে সোমনাথে যাচ্ছেন। অথচ দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী মন্দির তৈরির পরিকল্পনায় খুশি ছিলেন না। সেই ইতিহাস কি ওরা (কংগ্রেস) ভুলে গিয়েছে?’’