রাহুল গান্ধী।
তৃণমূল কংগ্রেস গোয়ায় জোটের প্রস্তাব দিলেও কংগ্রেস তাতে সাড়া দেয়নি। নির্বাচনের পরেও তৃণমূলের সঙ্গে জোট করার প্রয়োজন পড়বে না বলে জানিয়ে দিলেন রাহুল গান্ধী। আজ গোয়ায় গিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে ভোট পরবর্তী জোটের সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্নে রাহুলের জবাব, কংগ্রেস একাই গোয়া বিধানসভায় স্বচ্ছন্দে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জিতবে।
কংগ্রেস বিজেপির বিরুদ্ধে ঠিকমতো লড়াই করছে না বলেই তৃণমূল গোয়ার মাঠে নেমেছিল। কংগ্রেসের নেতাদেরই তৃণমূলে টেনে আনা হয়। পরে আবার তৃণমূলই কংগ্রেসকে জোটের প্রস্তাব পাঠায়। যদিও কংগ্রেস তাতে সাড়া দেয়নি। আম আদমি পার্টিও গোয়ায় লড়ছে। বিজেপি মনে করছে, তৃণমূল, আপ কংগ্রেসেরই ভোট কাটবে।
আজ গোয়ায় প্রচারে রাহুলকে প্রশ্ন করা হয়, ভোটের পরে আসন কম পড়লে কংগ্রেস কি তৃণমূল, আপ-এর সাহায্য নেবে? রাহুল বলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য কংগ্রেসের কারও সাহায্যের দরকার হবে না। প্রয়োজনে এ রকম জোটের সম্ভাবনা রয়েছে কি না, সেই সংক্রান্ত প্রশ্ন খারিজ করে তিনি বলেন, ‘‘আমরা স্বচ্ছন্দে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জিতব।’’
৪০ আসনের গোয়া বিধানসভার ভোটগ্রহণ সোমবার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গোয়ার স্বাধীনতাপ্রাপ্তিতে বিলম্বের জন্য জওহরলাল নেহরুকে দোষারাপ শুরু করেছেন। সংসদে অভিযোগ তোলার পরে শুক্রবার গোয়ায় প্রচারে গিয়েও তিনি বলেছেন, নেহরু পর্তুগিজদের হাত থেকে গোয়াকে স্বাধীন করতে ভারতীয় সেনা পাঠাননি। আজ রাহুল পাল্টা আক্রমণে গিয়ে বলেছেন, ‘‘দুঃখজনক বিষয় হল প্রধানমন্ত্রী ওই সময়ের ইতিহাস বোঝেন না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে কী হচ্ছিল, তার খুঁটিনাটি উনি বোঝেন না। এ বিষয়ে গোয়ার স্বাধীনতা সংগ্রামী, শিক্ষাবিদরা আগেই যা বলার বলেছেন।’’ এ সব বিষয় তুলে মোদী আসলে বেকারত্বের সমস্যা থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা করছেন বলেও রাহুলের অভিযোগ। তাঁর কথায়, ‘‘ওঁর কাজই হল নজর ঘোরানো। উনি গোয়ায় এসে ২ কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা, নোট বাতিলের উপকারিতা নিয়ে কিছু বলতে পারেন না। তাই আসল বিষয় থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা করেন।’’
পাঁচ বছর আগে কংগ্রেস গোয়ায় সবথেকে বেশি আসন জিতলেও সংখ্যাগরিষ্ঠতার অভাবে সরকার গড়তে পারেনি। বিজেপি কম আসনে জিতেও সরকার তৈরি করে ফেলে।