দিল্লিতে বিক্ষোভ মিছিলে রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা।
কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরোধিতায় এত দিনে রাস্তায় নামলেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। শুক্রবার দিল্লিতে লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বৈজলের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। তাতে নেতৃত্ব দেন দলের সাংসদ রাহুল গাঁধী এবং সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। অবিলম্বে বিতর্কিত ৩টি আইন প্রত্যাহার করে নিতে হবে বলে দাবি জানান তাঁরা।
কৃষি আইনকে ‘কৃষক বিরোধী’ আইন আখ্যা দিয়ে টুইটারে লাগাতার মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে চলেছেন রাহুল। বিক্ষোভ মিছিল থেকে এ দিন তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি সরকারকে এই আইন প্রত্যাহার করতেই হবে। তা না হওয়া পর্যন্ত পিছু হটবে না কংগ্রেস। এই আইনে কৃষকদের কোনও উপকার হবে না। বরং তাঁদের শেষ করে দিতেই এই আইন আনা হয়েছে।’’
এ দিন সারা দিন কৃষক অধিকার দিবস পালনেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস। বিভিন্ন রাজ্যে রাজভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বকে।
আরও পড়ুন: জোড়া রাজনৈতিক কর্মসূচির জেরে যানজটের সম্ভাবনা কলকাতায়
আরও পড়ুন: পাহাড়ে বরফ দেখতে চাইলে, হাতে আর বেশি দিন নেই
সংসদে প্রধান বিরোধী দল হয়েও কৃষি আইনের বিরোধিতায় কেন সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছে না কংগ্রেস, তা নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই প্রশ্ন উঠছিল। এমনকি এমন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে রাজধানীতে রাহুলের অনুপস্থিতি নিয়ে কটাক্ষ করতে দেখা গিয়েছিল শাসক শিবিরের নেতাদেরও। যদিও দিদিমা গুরুতর অসুস্থ বলেই তাঁকে বিদেশ যেতে হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। শারীরিক অসুস্থতার জেরে সনিয়া গাঁধীও রাস্তায় নামতে অপারগ বলে জানানো হয়েছিল।
মা ও দাদার অনুপস্থিতিতে সেই সময় ৯ জানুয়ারি দলীয় বৈঠকে প্রিয়ঙ্কাকেই কংগ্রেসকে নেতৃত্ব দিতে দেখা গিয়েছিল। কৃষি আইন নিয়ে দলের অবস্থান ঠিক করতে বৈঠকের উদ্যোক্তাও ছিলেন তিনিই। আর ব্যাকফুটে নয়, বরং কেন্দ্রীয় আইনের বিরোধিতায় এ বার ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে বলে সেখানে জানিয়েছিলেন তিনি। তার পরই এ দিন রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিলে পা মেলাতে দেখা গেল কংগ্রেস নেতৃত্বকে। শেষ বার হাথরস কাণ্ডে একসঙ্গে রাহুল ও প্রিয়ঙ্কাকে রাস্তায় নামতে দেখা গিয়েছিল।