Assembly Elections 2018

প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বাসনা নেই রাহুলের, দাবি কমলনাথের

রবিবার রাহুলকে প্রধানমন্ত্রী করার দাবি তুলেছিলেন ডিএমকে নেতা এমকে স্ট্যালিন। তা নিয়ে বিজেপি বিরোধী শিবিরে অস্বস্তি দেখা দিয়েছিল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৮:২২
Share:

রাহুল গাঁধী ও কমলনাথ।—ফাইল চিত্র।

প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বাসনা নেই রাহুল গাঁধীর। তাড়াহুড়ো করতে চায় না কংগ্রেসও। লোকসভা ভোট মিটলে এ নিয়ে আলোচনা হবে। সোমবার জানিয়ে দিলেন কংগ্রেস নেতা ও মধ্যপ্রদেশের নয়া মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ

Advertisement

রবিবার রাহুলকে প্রধানমন্ত্রী করার দাবি তুলেছিলেন ডিএমকে নেতা এমকে স্ট্যালিন। তা নিয়ে বিজেপি বিরোধী শিবিরে অস্বস্তি দেখা দিয়েছিল। তা নিয়ে সোমবার পরিস্থিতি সামাল দিতে এগিয়ে আসেন কংগ্রেসের এই প্রবীণ নেতা। সোমবার শপথগ্রহণের আগে সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেন, ‘‘জানি না কারও সমস্যা হবে কিনা, তবে রাহুল গাঁধী নিজে কিন্তু কখনও প্রধানমন্ত্রী হওয়া নিয়ে জোর দেননি। বিষয়টি নিয়ে শরিকদলগুলির সঙ্গে আলোচনা হবে। তাতে যা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, তা মেনে নিতে হবে কংগ্রেসকে।’’

তবে এখনই প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নিয়ে তাড়াহুড়ো নেই বলে সাফ জানিয়ে দেন তিনি। কমলনাথ বলেন, ‘‘এখনই এ নিয়ে ভাবার কারণ নেই। লোকসভা নির্বাচন মিটলে দেখা যাবে। সর্বসম্মতিতে যে নাম উঠে আসবে, তাঁকেই প্রধানমন্ত্রী করা হবে। এখন এ ব্যাপারে কথা বলা অর্থহীন। এক-দু’মাস গেলে ছবিটা অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে যাবে।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: তিন কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রীর শপথে বিরোধী জোটের হাওয়া, নেই শুধু মায়া-মমতা-অখিলেশ​

আরও পড়ুন: শিখ দাঙ্গার কাঁটা নিয়েই মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর মুকুট পরলেন কমল নাথ​

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে পরাস্ত করতে বিরোধীদের একজোট হওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশ হওয়ার পর যা আরও জোর পেয়েছে। কিন্তু রবিবার স্ট্যালিনের মন্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করে তৃণমূল, বসপা এমনকি সমাজবাদী পার্টিও। তৃণমূলের তরফে বলা হয়, ‘‘ভোট মিটলে প্রধানমন্ত্রী বাছা হবে, শুরু থেকেই এমনটা বলে আসছি আমরা। কংগ্রেসেরও তরফেও কোনও নাম প্রকাশ করা হয়নি। তাহলে অন্য দলগুলো এত মাতামাতি করছে কেন?’’

একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে সপা নেতা ঘনশ্যাম তিওয়ারি বলেন, ‘‘মানুষের রায় পেলেই প্রধানমন্ত্রী পদ নিয়ে আলোচনা হবে। কারও সঙ্গে মতিবরোধ নেই আমাদের। তবে যে বিষয়ে আলোচনাই শুরু হয়নি, তা নিয়ে খামোকা হল্লা করে লাভ কী?’’শরিকদলগুলির এমন প্রতিক্রিয়ার জেরেই কংগ্রেস নেতাকে বিবৃতি দিতে এগিয়ে আসতে হয় বলে জল্পনা রাজনৈতিক মহলে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement