Rahul Gandhi

‘অগ্নিবীর’ বন্ধ হোক! রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করে দাবি তুললেন প্রয়াত ক্যাপ্টেন অংশুমান সিংহের মা

সংসদের সদ্য শেষ হওয়া অধিবেশনে রাহুল গান্ধী লোকসভায় বিরোধী দলনেতা হিসেবে ঠিক এই দাবিই তুলেছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, মোদী সরকার সেনার মধ্যে দু’টো গোষ্ঠী তৈরি করে ফেলছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০২৪ ০৬:২১
Share:

সেনাবাহিনীতে মাত্র চার বছরের জন্য নিয়োগের ‘অগ্নিবীর’ প্রকল্প নিয়ে মোদী সরকার নতুন করে অস্বস্তিতে পড়ল। আজ সেনার প্রয়াত ক্যাপ্টেন অংশুমান সিংহের মা মঞ্জু সিংহ রায়বরেলীতে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করার পরে দাবি তুললেন, অগ্নিবীর বন্ধ করা হোক। সেনাবাহিনীতে দু’রকম ফৌজ তৈরি করা বন্ধ করা হোক। সেনাবাহিনীর সকলের জন্যই পেনশন, ক্যান্টিন ও অন্যান্য সুযোগসুবিধা চালু হোক। সেখানে যেন ভেদাভেদ তৈরি না হয়। সেনাকে দুই ভাগে ভাগ করা যেন না হয়।

Advertisement

সংসদের সদ্য শেষ হওয়া অধিবেশনে রাহুল গান্ধী লোকসভায় বিরোধী দলনেতা হিসেবে ঠিক এই দাবিই তুলেছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, মোদী সরকার সেনার মধ্যে দু’টো গোষ্ঠী তৈরি করে ফেলছে। একাংশ, যাঁরা পেনশন পান। অন্য অংশ, অগ্নিবীর, যাঁরা গোলাগুলিতে নিহত হলেও পরিবার পেনশন পায় না। সে সময় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ বলেছিলেন, নিহত অগ্নিবীরদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। আজ মঞ্জু সেই অগ্নিবীর প্রকল্পই বন্ধ করার দাবি তুলেছেন। রাহুল তাঁকে আশ্বাস দিয়েছেন, তিনি এ নিয়ে ফের সরব হবেন। রায়বরেলী থেকে ফেরার পথে রাহুল বলেন, ‘‘এ নিয়ে যা বলার সংসদে বলব।’’

গত সপ্তাহেই রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রয়াত ক্যাপ্টেন অংশুমান সিংহের মা মঞ্জু ও তাঁর স্ত্রী স্মৃতির হাতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু মরণোত্তর কীর্তিচক্র সম্মান তুলে দিয়েছিলেন। অংশুমান সেনার মেডিক্যাল সার্ভিসের অফিসার ছিলেন। গত জুলাইয়ে সিয়াচেনের সেনা ছাউনির গোলাবারুদের স্তূপে আগুন লেগে যাওয়ায় তিনি সঙ্গী জওয়ান ও চিকিৎসার যন্ত্রপাতি বাঁচাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান। রাষ্ট্রপতি ভবনের অনুষ্ঠানে অংশুমানের স্ত্রী ও মায়ের সঙ্গে রাহুলের দেখা হয়েছিল। সে সময়ই তিনি পরে কথা বলবেন বলে মঞ্জুর কাছে ফোন নম্বর চেয়ে নিয়েছিলেন।

Advertisement

আজ রাহুল নিজের লোকসভা কেন্দ্র রায়বরেলীতে পৌঁছে প্রথমে হনুমান মন্দিরে পুজো দেন। তার পরে পুলিশের গুলিতে নিহত কৃষকদের শহিদ স্মারকে শ্রদ্ধা জানিয়ে রায়বরেলীর এমস-এ রোগীদের সঙ্গে দেখা করেন। এক জন খুদে রোগীর সঙ্গে মোবাইলে লুডোও খেলেন। তার পরে মঞ্জু সিংহের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। মঞ্জু বলেন, ‘‘আমি আশা করব, সরকার রাহুল গান্ধীর বক্তব্য শুনবে। ভাবনাচিন্তা করবে। সেনাবাহিনীকে যেন দু’ভাগে ভাগ না করা হয়। সরকারের কাছে এটাই আবেদন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement