রাহুল গাঁধীর সঙ্গে দেখা করলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: টুইটার।
ভারত সফরে এসে বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানরা দেশের বিরোধীদলের প্রধানদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সেই রীতি মেনে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধীর সঙ্গে দেখা করলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দিল্লিতে যে বিলাসবহুল হোটেলে তিনি উঠেছেন, সেখানে মঙ্গলবার দেখা করতে যান রাহুল। বেশ খানিক ক্ষণ কথা হয় দু’জনের মধ্যে। সূত্রের খবর, দু’দেশের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয় দু’জনের মধ্যে।
রীতি অনুযায়ী কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার কথা হাসিনার। কিন্তু সম্প্রতি সনিয়ার মা মারা যাওয়ার পর থেকে তিনি ইটালিতে রয়েছেন। ফলত, রাহুলের সঙ্গেই দেখা করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। রাহুলের দিদিমার প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেন হাসিনা। তাঁর মায়ের শারীরিক অবস্থারও খোঁজ খবর নেন।
চার দিনের ভারত সফরে এসে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে বৈঠক করেন হাসিনা। কুশিয়ারি নদীর জলবণ্টন-সহ মোট সাতটি ‘মউ’ স্বাক্ষর হয় এই বৈঠকে। তবে তিস্তা জলবণ্টনের বিষয়ে কোনও আলোচনা হয়নি এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী আশাপ্রকাশ করেন, মোদীর জমানাতেই তিস্তা জলবণ্টন নিয়ে সমঝোতা হয়ে যাবে। বৈঠকের পর এক যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে হাসিনা বলেন, ‘‘দ্বিপাক্ষিক বেশ কিছু বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে। আশা করব আগামী দিনে বকেয়া বিষয়গুলি নিয়েও সমঝোতায় আসা সম্ভব হবে।’’
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি হাসিনা রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গেও দেখা করেন।