রাহুল গাঁধী।
নিজের কেন্দ্রে বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গত মাসের শেষে কেরলে গিয়েছিলেন রাহুল গাঁধী। তার পর প্রায় এক মাস হতে চলল, রাহুল গাঁধীকে প্রকাশ্যে তেমন দেখা যাচ্ছে না। এমনকি গাঁধীর জন্মের সার্ধশতবর্ষ পালন নিয়ে সনিয়া গাঁধীর ডাকা বৈঠকে প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা থাকলেও শামিল হননি রাহুল। তবে দল বলছে, শীঘ্রই ফের সক্রিয় হতে চলেছেন রাহুল।
২ অক্টোবর গাঁধীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সনিয়া গাঁধী গোটা দেশেই নানা কর্মসূচির পরিকল্পনা করেছেন। যার মধ্যে অন্যতম হল পদযাত্রা। কংগ্রেসের সূত্রের মতে, রাহুল গাঁধী মহারাষ্ট্রের ওয়ার্ধার পদযাত্রায় শামিল হতে পারেন। সেই মর্মে রাজ্যের কংগ্রেস নেতৃত্বকে আয়োজন করতে বলা হয়েছে। গাঁধীর স্মৃতি জড়ানো ওয়ার্ধাতে গত বছরই ওয়ার্কিং কমিটির আয়োজন করেছিল কংগ্রেস। দলের মতে, সামনের মাসেই মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচন। সেই অর্থে রাহুল সেখান থেকে পদযাত্রা শুরু করলে এক ঢিলে দুই পাখি মারা সম্ভব হবে। গাঁধীর জন্য পদযাত্রাও হবে, ভোটের প্রচারও শুরু হবে।
যদিও টিম-রাহুলের এক সদস্যের কথায়, লোকসভা ভোটের পরাজয়ের পরেই রাহুল যখন ইস্তফা দিতে চেয়েছিলেন, তখনও গোটা দেশে তাঁর পদযাত্রার কথা ভাবা হয়েছিল। রাহুল রাজি হননি। যদিও বলেছিলেন, তিনি পদে না থাকলেও সক্রিয় থাকবেন। কিন্তু এক মাস ধরে তাঁর ‘সক্রিয়তা’ তেমন দেখা যায়নি। প্রিয়ঙ্কাও একবার উত্তরপ্রদেশে দু’দিনের প্রতিবাদ করে এসে দিল্লিতেই রয়েছেন। উভয়েই টুইট করে যাচ্ছেন নিয়মিত।
আজও রাহুল সিএ পরীক্ষার্থীদের দুভোর্গ নিয়ে টুইট করেন। প্রিয়ঙ্কাও উত্তরপ্রদেশের মহিলাদের নিরাপত্তাহীনতা ও রাতে পঞ্জাব-মহারাষ্ট্র সমবায় ব্যাঙ্কে টাকা তোলা নিয়ে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মানুষের ভোগান্তি নিয়ে টুইট করেছেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, প্রধান বিরোধী দল হিসেবে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা কি শুধু টুইটের মাধ্যমেই রাজনীতি করবেন? ওয়ার্কিং কমিটির এক সদস্য বলেন, ‘‘নেতা যখন মাঠে নেমে লড়াই করেন, তখন কর্মীরা চাঙ্গা হন। কিন্তু নেতারাই যদি ঘরে বসে থাকেন, তাহলে তার সদর্থক বার্তা নিচুতলায় পৌঁছয় না।’’