অসমে বন্যাদুর্গতদের সঙ্গে রাহুল গান্ধী। ছবি: এক্স (সাবেক টুইটার)।
বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে অসমে গেলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। সোমবার সকালেই শিলচর বিমানবন্দরে অবতরণ করে রাহুলের বিমান। তার পর কাছাড় জেলায় বেশ কয়েক জন বন্যাদুর্গতের সঙ্গে কথা বলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা। প্রসঙ্গত, বিরোধী দলনেতা হওয়ার পর এই প্রথম উত্তর-পূর্ব ভারতে এলেন রাহুল। সোমবার তাঁর মণিপুর সফরেও যাওয়ার কথা।
অন্য দিকে, রাহুলের এই সফরকে ঘিরে বাগ্যুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে কংগ্রেস এবং বিজেপির মধ্যে। কংগ্রেসের বক্তব্য, বন্যায় বিপর্যস্ত অসমে তো বটেই, এখনও পর্যন্ত গোষ্ঠীহিংসায় দীর্ণ মণিপুরে যাওয়ার সময় পেলেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু রাহুল বার বার উত্তর-পূর্ব ভারতে ছুটে গিয়েছেন। বিজেপির পাল্টা কটাক্ষ, রাহুল মানুষের ‘দুর্দশা দেখতে পর্যটনে’ বেরিয়েছেন। সোমবার সকালে রাহুলকে শিলচর বিমানবন্দরে স্বাগত জানান অসম এবং মণিপুরের কংগ্রেস নেতারা।
সোমবার দুপুরেই মণিপুরের জিরিবামে যাবেন রাহুল। কংগ্রেস সূত্রে খবর, সেখানে তিনি হিংসায় ঘরছাড়া মানুষদের সঙ্গে কথা বলবেন। ২০২৩ সালের মে মাসে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে গোষ্ঠীহিংসা শুরু হওয়ার পর দু’বার মণিপুরে গিয়েছেন রাহুল। সোমবার তৃতীয় বারের জন্য সে রাজ্যে যাচ্ছেন তিনি। জিরিবাম যাওয়ার পথে অসমের বন্যাদুর্গতদের জন্য যে ত্রাণশিবির করা হয়েছে, সেখানেও যাওয়ার কথা রয়েছে রায়বরেলীর কংগ্রেস সাংসদের।
গত কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিতে অসমের বিস্তীর্ণ অংশ বানভাসি হয়েছে। অধিকাংশ নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। রাজ্যের ২৮টি জেলার ২২ লক্ষ ৭০ হাজার মানুষ বন্যায় ভোগান্তির সম্মুখীন হয়েছেন। প্রাণ হারিয়েছেন ৭৮ জন। অন্য দিকে, প্রায় ১৪ মাস ধরে চলা গোষ্ঠীহিংসায় মণিপুরে ২০০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। মাঝে কয়েক মাস সে রাজ্য থেকে বড় অশান্তির খবর না পাওয়া গেলেও সম্প্রতি অসম সীমান্ত লাগোয়া জিরিবামে নতুন ঝামেলার সূত্রপাত হয়। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, জিরিবাম থেকে সড়কপথে শিলচরে ফিরবেন রাহুল। তার পর বিমানে মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলের উদ্দেশে রওনা দেবেন।