রাহুল গান্ধী (বাঁ দিকে), সিদ্দারামাইয়া (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।
‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’য় রয়েছেন রাহুল গান্ধী। তার মধ্যেই আদালতের সমন পেলেন কংগ্রেস নেতা। শুধু তিনি একা নন, তাঁর সঙ্গে সমন পেয়েছেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এবং উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার। পুরনো এক মামলায় আদালতে তাঁদের হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত বছর কর্নাটকের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে তৎকালীন বিজেপি সরকারকে নিশানা করতে গিয়ে রাজ্য জুড়ে কিছু পোস্টার দিয়েছিল কংগ্রেস। সরকারের বিরুদ্ধে ‘দুর্নীতি’র অভিযোগে তুলে সরব হয়েছিল তারা। পোস্টারের উপরে বড় হরফে লেখা ছিল ‘পে সিএম’। আর ছিল ই–ওয়ালেটের কিউআর স্ক্যানকোড, তার নীচে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইয়ের ছবি। সেখানে লেখা ‘৪০ শতাংশ নেওয়া হয়’।
বাসবরাজের ছবি দিয়ে ওই পোস্টার নিয়ে হইচই শুরু হয়েছিল কর্নাটকে। ওই পোস্টারে বিজেপির বিরুদ্ধে ৪০ শতাংশ কমিশন নেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছিল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। সেই পোস্টারে একটি ওয়েবসাইটও দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, দুর্নীতি সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ থাকলে ওই ওয়েবসাইটে জানাতে পারবেন রাজ্যবাসী। পরে অবশ্য পুলিশ সেই সব পোস্টার খুলে দেয়।
নির্বাচন মিটলেও সেই পোস্টার বিতর্কের নিষ্পত্তি এখনও হয়নি। রাহুল, সিদ্দারামাইয়া এবং ডিকে শিবকুমারের বিরুদ্ধে সাংসদ-বিধায়ক বিশেষ আদালতে মামলা করেছিলেন বিনোদ কুমার নামে এক আইনজীবী। তাঁর অভিযোগ ছিল, কংগ্রেস মিথ্যা অভিযোগ তুলে প্রচার করেছে। এতে বাসবরাজ বোম্মাই-সহ তৎকালীন বিজেপি সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। সেই মামলার শুনানিতে শুক্রবার রাহুলদের সমন পাঠাল আদালত। আগামী ২৮ মার্চ আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তিন জনকেই। যদিও কংগ্রেসের তরফে এ ব্যাপারে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।