সাংবাদিক বৈঠকে রাহুল গাঁধী। শুক্রবার দিল্লিতে। পিটিআই
রাফাল কাণ্ডে ‘ঘুষ’-এর প্রথম কিস্তি ফাঁস করলেন রাহুল গাঁধী। সঙ্গে বললেন, এ নিয়ে তদন্ত হলে বাঁচতে পারবেন না নরেন্দ্র মোদী। টেনশনে এখন তাঁর রাতে ঘুম হচ্ছে না। ভয় পাচ্ছেন, ধরা পড়ে যাবেন। দুর্নীতির দুর্গন্ধ সোজা যাচ্ছে রেস কোর্স রোডে।
যুব কংগ্রেসের কর্মীরা আজ যখন রাফাল দুর্নীতির প্রতিবাদে প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি ঘেরাওয়ের তোড়জোর করছেন, তখনই কংগ্রেস দফতরে বোমা ফাটালেন রাহুল। বললেন, রাফালের দুর্নীতি ধামাচাপা দিতে গত মাসে প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের প্যারিস সফরের পরে দাসো-র সিইও এরিক ত্রাপিয়ে বলেছিলেন, জমি ছিল বলেই অনিল অম্বানীর সংস্থাকে বরাত দেওয়া হয়েছে। এখন দেখা যাচ্ছে, লোকসানে চলা অনিলের সংস্থাকে ২৮৪ কোটি টাকা দিয়েছে দাসো। সেই টাকাতেই জমি কিনেছে তারা। এটা রাফাল দুর্নীতির ঘুষের প্রথম কিস্তি। শিগগিরই আরও কিস্তি বেরোবে।
দু’দিন আগেই সুপ্রিম কোর্ট রাফালের দাম জানাতে নির্দেশ দিয়েছে সরকারকে। সরকারের দাবি, সে সব তথ্য গোপন। রাহুল এ দিন বলেন, ‘‘দাম গোপন হতেই পারে না। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ আমাকে সেটা বলেছেন। দাসো-র বার্ষিক রিপোর্টেও লেখা আছে, ভারত কত দামে রাফাল কিনেছে। সিবিআই প্রধান অলোক বর্মার কাছে সব প্রমাণ ছিল। তিনি তদন্ত শুরু করতে যাচ্ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী তদন্তে ভয় পান বলেই তাঁকে সরিয়ে দিলেন। দুর্নীতি না করলে দেশের চৌকিদার বলতেই পারতেন, তদন্ত হোক। কিন্তু তদন্ত হলে তিনি বাঁচতে পারবেন না। নিশ্চিত।’’
আরও পড়ুন: ৪৫২২ দিন পরে আর্জি কেন বফর্সে
রাহুলের এমন অভিযোগের পরেও প্রধানমন্ত্রী চুপই। বিজ্ঞান ভবনে আজ অরুণ জেটলির সঙ্গে বসে ছোট ও মাঝারি শিল্পের সম্মেলন করেছেন। কিন্তু রাহুলের অভিযোগ নিয়ে কোনও কথা বলেননি। বিজেপিও কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। দলের নেতারা ঘরোয়া মহলে বলছেন, রাহুল এখন ঘুমেও রাফালের স্বপ্ন দেখেন! কংগ্রেস পাল্টা বলছে, জবাব থাকলে তো দেবে। রাহুলের অভিযোগের সমর্থনে এ দিন কাগজপত্রও দেখান কংগ্রেস নেতারা। সেই নথি অনুযায়ী, অনিলের ৮ লক্ষ ৩০ হাজার কোটি টাকার সংস্থায় ২৮৪ কোটি টাকা দিয়েছে দাসো।
আরও পড়ুন: দিল্লি সতর্ক করে সাত দিন আগে!
রাহুল বলছেন, ‘‘দাসোর সিইও এখন মিথ্যা বলছেন শুধু একজনকে আড়াল করতে। যিনি এ দেশ চালান, নরেন্দ্র মোদী। হ্যালের হাতে অনিলের সংস্থার থেকে বেশি জমি আছে।’’ তাঁর মন্তব্য, ‘‘১০১ শতাংশ ঘুষ! সরকার হয়ত জেপিসি করবে না। কিন্তু তার থেকেও বেশি জরুরি হল সিবিআই প্রধানকে সরানোর বিষয়টি।’’