রাহুল গাঁধী। -ফাইল চিত্র।
সরকারি চাকরিতে তফসিলি জাতি এবং উপজাতির সংরক্ষণের বিরুদ্ধে যে ভাবাদর্শ নিয়ে এগোচ্ছে বিজেপি এবং সঙ্ঘ, তা কোনওভাবেই চরিতার্থ হতে দেবেন না, সাফ জানিয়ে দিলেন রাহুল গাঁধী।
সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ নিয়ে শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া রায়ের পরই সোমবার রাজ্যসভায় এ নিয়ে সরব হন রাহুল গাঁধী। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাজ্যসভা স্থগিতের নোটিস জারি করেছেন তিনি। বামফ্রন্টও একই ইস্যুতে লোকসভা স্থগিতের প্রস্তাব রেখেছে।
সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ দাবি করাটা কোনও মৌলিক অধিকার নয় বলেই শনিবার রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও এবং বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তের বেঞ্চ বলেছে, কোনও আদালতই কোনও রাজ্যের সরকারকে তফসিলি জাতি ও জনজাতির জন্য সংরক্ষণ কার্যকর করার নির্দেশ দিতে পারে না। সংরক্ষণ দেওয়া-না দেওয়া কিংবা পদোন্নতির ক্ষেত্রে সংরক্ষণের বন্দোবস্ত করার বিষয়টি একেবারেই রাজ্য সরকারের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে। সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে রাজ্য সরকার বাধ্যও নয়। এবং সংরক্ষণ প্রয়োজন কি না, তা রাজ্যই ঠিক করবে।
আরও পড়ুন: মাটি খুঁড়ে উদ্ধার ৫০ লাখের চোরাই গয়না, খড়ের চালে লাখ টাকা!
পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট এও স্পষ্ট করে দিয়েছে, সরকারি চাকরিতে তফসিলি জাতি ও উপজাতির মানুষদের জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে চাইলে রাজ্যকে সে বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করেই এগোতে হবে। সেই সংক্রান্ত পরিসংখ্যান আদালতে জমা দিতে হবে, যাতে সংরক্ষণ নীতিকে কেউ চ্যালেঞ্জ করলে ওই পরিসংখ্যান দেখানো যায়। কোনও রাজ্য যদি সংরক্ষণ দিতে ইচ্ছুক না থাকে, তাহলে এর প্রয়োজন নেই। রাজ্য তার সিদ্ধান্তের কারণ ব্যাখ্যা করতে বাধ্যও নয়।
শীর্ষ আদালতের এই রায় ঘোষণার পর বিজেপি এবং সঙ্ঘের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে কংগ্রেস। সোমবার রাহুল গাঁধী বলেন, “সংরক্ষণ বিষয়টাই উঠিয়ে দেওয়ার কৌশল নিয়েছে বিজেপি। বিজেপি এবং সঙ্ঘের ডিএনএ-র ভিতরেই এই বিষয়টা রয়েছে। তাঁরা এটা মানতে পারে না, তাই শেষ করতে চায়।” তফসিলি জাতি, উপজাতি, দলিত সকলকেই আশ্বস্ত করে তিনি বলেছেন, মোদীজি বা মোহন ভগবতজি যতই স্বপ্ন দেখুন না কেন, কোনও মূল্যেই সংরক্ষণ তুলতে দেবে না কংগ্রেস।